চিকন পথের ভাঙা ভাঙা মোড়ে জমতে থাকে জলের উপর জল।
কচুর পাতার নিচে তার খালি গা আখের পাতার কোণ বেয়ে
এসে পড়া পানির বিন্দুমতো স্রোতের ছোঁয়ায় ভিজতে ভিজতে
প্রায় ভিজে যায়। হাঁটু পার হয়ে পায়ের কোমল লোমকূপগুলো
সবচেয়ে উদাসীন, দ্বিধাহীন ভিজতে থাকে বলে মনে
হয় বৃষ্টি আর জমে থাকা পানি আপন, শীতল-সুন্দর।
আমার এমন দিনে ভয়ানক বর্ষণ এলে আর মনে হয় না
নিজের অভিসারে বের হয়ে জনহীনতায় আর্তনাদের শব্দ করি।
কিন্তু বালকের পুলকে শান্তি থাকে না। মোহ তার স্বভাবের জোরে
ভাগ হয়ে থাকে মনের উচছলতা আর শরীরের আর্তনাদের মতো।
ভেঙেপড়া কলাগাছের গুড়িটাকে কখনও নৌকা কখনও
ভেলা করে ভেসে থাকার চেয়ে আনন্দের মনে হয় বুকে
জড়িয়ে পানির বিছিনায় শুয়ে থাকতে পারলে।তখন
আকাশের কালো গভীর মেঘ ঠাণ্ডা কদম ফুলের মতো
ছিঁড়ে ছিঁড়ে পড়ে আর তার নিচে বালকের অসচেতন
বাসরের রঙহীন গন্ধহীন ফুল ফুটে রয়। সে বুঝতে পারে কি
পারে না তার মন আর শরীর ফুলে ফুলে ছেয়ে অভিন্নতায়
বয়সের মতো জল হয়ে গড়িয়ে যায় ? জল বাড়তে থাকে।