ইয়েস পোড়া চিংড়ি ভর্তার স্বাদ পেতে না পেতেই আবার পেতে যাচ্ছেন ঢেঢ়শ & চিংড়ি ভূনার। ভর্তার রেসিপিটা আম্মার সাহায্যে দিলেও এইটা কিন্তু এক্কেবারে খাঁটি আমার আই মিন নীলু ওরফে নীল-দর্পণের রেসিপি সুতরাং প্র্যাকটিক্যাল করার আগে সাবধান
আম্মা ইফতারের আগে বেশ অসুস্থ হয়ে গেল ইফতার টা কোন রকমে আমিই বানাই। ইফতারের পরে দেখি আম্মা শুয়ে আছেন, ভাবলাম রান্নাটা আমিই করে ফেলি। রান্না ঘরে গিয়ে পরলাম মহা ফ্যাসাদে, কি রান্না করব পরে বেশ চিন্তা ভাবনা করে বের করলাম সহজ রান্না খেতেও মজা, ঢেড়শ দিয়ে চিংড়ি মাছ ভূনা করি। যেই ভাবা সেই কাজ
নাহ বকবক কম করে রেসিপিটাই দিয়ে দিই যদিও মরিচ নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল, সেই কথায় পরে আসছি।
উপকরণ:
ঢেড়শ: ২৫০ গ্রাম
চিংড়ি মাছ: বড় সাইজের ৯টা(মানুষ চার জন নয়টা যে কোন হিসেবে দিলাম জানিনা)
পেঁয়াজ কুচি: ছোট-বড় ৪/৫টা
আদা-রসুন বাটা: একচা চামচ(যে চামচ দিয়ে চা নাড়েন সেই চামচ)
হলুদ গুড়া: এক চা চামচ(একটু বেশী দিয়েছিলাম মনে হয়)
জিরা গুড়া: এক চা চামচ
তেল: পরিমান জানিনা(মেজারমেন্ট চামচের আড়াই/৩ টেবিল চামচ হবে মনে হয়)
লবন: পরিমান মত
প্রণালী:
ঢেড়শ ধুয়ে আগা-গোড়া কেটে নিন, সাথে খেয়াল করবেন পোকা আছে কিনা। এবার চিংড়ি মাছ বেছে ধুয়ে নিন। চুলা জ্বালিয়ে তার উপর করাই চাপিয়ে তেল দিয়ে দিন। এর পরে পেঁয়াজ, লবন, আদা-রসুন বাটা, হলুদের গুড়া দিয়ে একটু কষিয়ে মাছ দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে এবার ঢেড়শ দিয়ে একটু ঢেটে দিন। মশলা হালকা লেগে গেলে দুই কাপ পরিমান পানি দিয়ে চুলায় মাঝাড়ি আঁচ দিয়ে কড়াই ঢেকে দিন। এরপরে ঘড়ে মরিচ থাকলে তা কেটে নিন। খুজে দেখি আমার বাসায় কাঁচা/গুঁড়া কোন মরিচ ই নাই দেখি গুঁড়া মরিচের বৈয়ামের তলায় অল্প একটু আছে। ধুয়ে তাই দিলাম। এই ফাঁকে চাল ধুয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। হঠাৎ মনে হল শুকনা মরিচ ভেজে গুড়া করে দিয়ে দেখি কি অবস্থা হয়। যেই ভাবা সেই কাজ ভাতের মাড় গেলেমরিচ ভেজে গুড়া করে নিলাম। এত কিছুর মাঝে কিন্তু চুলার তরকারী নাড়তে ভুলিনি
এবার পানি প্রায় শুকিয়ে এলে মরিচের গুড়া ও ভাজা জিরার গুড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে তরকারী একদম শুকনা শুকনা হলে নামিয়ে নিলাম।
বি:দ্র: ঢেড়শ গুলো ধুয়ে হালকা কেচে নিবেন তাহলে ভাল হবে। আমি আজকে করতে ভুলে গিয়েছিলাম। কড়াইতে দেওয়ার পরে মনে পড়েছিল