বহুদিন পর ব্লগে প্রবেশ করলাম। অনেক বিষয়ই মনে-মাথায় ঘুরপার খেয়েছে কিন্তু লেখার সময় হয়ে ওঠেনি। আজ একটু সময় পেলাম । বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে রামুতে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কার-জনক ঘটনাটাই আমাকে সবচেয়েবেশী পোষ্ট লেখার জন্য প্ররোচিত করছে। এই ঘটনা এদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তথা সংখ্যালঘু সমাজকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, আতঙ্কিত, উদ্বেলিত ও হতাশ করেছে আমি মনে করি সংখ্যাগুরু মুসলমান সমাজকেও অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, আতঙ্কিত, উদ্বেলিত ও হতাশ করেছে, যদিও একটা অংশ এটা বুঝতে পারছেন না। এই ঘটনা মুসলমান সমাজকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলো তার ছোট একটা তালিকা নিচে দেয়া হলো:
১. আমার জানামতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে মুসলমান সমাজের কোন দন্দ্ব পূর্বে ছিল না । এই ঘটনা তার সূত্রপাত ঘটাল।
২. আমরা বড়মুখে বলি বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর দেশ। এই দেশের মুসলমানরা সহিষ্ঞু। এই ঘটনা এখন থেকে এমন দাবি করাকে কঠিন করে তুললো।
৩. বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিমদের উপর অন্যায় অত্যাচারের আমরা প্রতিবাদ করে থাকি। এই ঘটনা এখন থেকে সেই প্রতিবাদি হয়ে ওঠার পথকেও কঠিন করে তুললো।
৪. বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় কিংবা অযোধ্যার মুসলিম নিধনের ঘটানায় আমরা আর আগের মতো মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ জানাতে পারবো না।
৫. পুড়ে যাওয়া বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে যে শত কিংবা হাজার বছরের পান্ডুলিপি সহ বিভিন্ন নিদর্শন ধ্বংস হয়েছে তা এদেশের বৌদ্ধদের পাশাপাশি আমাদেরও ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যসমূহের ধ্বংস আমাদের কে যেমন ঐতিহ্য হারানোর বেদনায় সিক্ত কেরেছে তেমনি বিশ্বের কাছে আমাদেরকে একটা বর্বর জাতি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
৬. বৌদ্ধ তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনে এই ঘটনা মুসলমান সমাজের প্রতি যে অনাস্থা সৃষ্টি করেছে তা পুরণ হওয়ার নয়।