নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ থেকে কিছু দলছুট জোনাক
চলে আসে আমাদের জংলা ঘরের জানালায়-
নক্ষত্র পতনের শেষে মহাজাগতিক মুগ্ধতাই সার-
মানুষ ব্যাতীত অন্য কোন জীবদেহে তা ভীতি ও সংশয়
ছাড়া আর কিছু নয়-দুরে পাতকী রাত্রির ক্রোধ বাড়ে-
জোয়ারের জলে চূর্ণ-বিচূর্ণ চাঁদ দেখে ভাবি
যে আলো আমার ব্যাক্তিগত প্রকোস্ঠে বেড়ে ওঠে:
সে রশ্মি রং মহলের কাছে
ধ্বংসের প্রাকলীলা-
মানুষের প্রেমবোধ হলে আমি দেখেছি যে
তার উদ্দেশ্যের এক নক্ষত্র পথ ভুল করে
বিস্ফোরিত হয় মোহের মৃত্তিকায়-
আবার একাকীত্বের নদীতে খরস্রোত বেড়ে গেলে
পতনদৃশ্যে মেতে ওঠা স্বস্তিদায়ক বটে
আমাদের করতলে অকৃত্রিম ঠিকানা গেথে থাকে-
বিগত বন্যায় উজানের হাটুজল আমাকে
দিকভ্রান্ত চোখের ঠিকানাদারকে খুঁজে পেতে দেয়নি-
তবুও বৃক্ষের মতই পতন ঘটেছিল
সুনিশ্চিত আলোকরাজির-
এজন্য প্রয়োজন হয়নি কোনো প্রতিজ্ঞা অথবা স্বীকারোক্তি।
সেই নক্ষত্রের দোষে
আলোর পতন দেখতে পাই
অথচ আমার চোখে নয়,
নক্ষত্রের পতন দেখতে পাই মানুষের চোখে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭