মীমাংসাকে মধ্যবর্তী করে বিবাদ বাড়াও?
পরস্পর সমবর্তী হয়েও তোমরা যেন একটি প্রসূনের মতো প্রাপ্তবয়স্ক,প্রস্ফুটিত।
প্রতিটি পাঁপড়ির মতো করে তোমরা ঠিকই নিজ অবস্হানে পৃথক।
ছিড়ে ফেলবার আকুলতা নিয়ে কোন কিশোরী যখন তাকায়,
তখন একটি ফুলগাছের পালিয়ে যাবার ক্ষমতাও থাকেনা,শান্তিপ্রিয় আমি কি তাকেই বলবো?
তবুও কেন যে অমূলক সন্দেহ ঘিরে থাকে প্রেমিক আর প্রেমিকার মনে,
সন্দেহের সমুদ্রে জোয়ার বেড়ে গেলে যেইসব অবিশ্বাস্য ঝড় আর ঢেউ এসে ধংসের নিঃশ্বাস ফেলে,
তা কিন্তু আসলে গোপনে প্রেম বেড়ে যাবার অতিলক্ষণ যেন,
লাউডগার লকলকে বেড়ে ওঠা,জীবনের প্রতি অতি আকর্ষনভেদে সকলের এই প্রেমবোধ!
এতকিছুর পরও
অনেকেই প্রেমকে মৌলিক কিছু ভাবতে নারাজ,শ্রেয়তর বোধ কিংবা অতি মর্মপীড়ার আরো গভীরে
তাঁরা যেন এক জাহাজ ডুবতে দেখে শিখে এসেছেন মানুষের বুদ্ধিনির্বাপন,সৃজনশীল আক্রমনের মহড়া!
আরো এক নির্জনতায়,অন্য কোন অন্ধকার ধারণ করে আমাদের সমস্ত প্রেম।
এই সভ্যতা,অবদমন আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের পরে অস্বীকার করতে শেখায় প্রেমবোধকে।
কোন প্রেম সত্য হতে পারে না-এ বিষয়টি আমিও বুঝে নিয়েও
কেন যেন প্রতিটি পার্কে ঘুরে ঘুরে
দেখে ফেলেছি লোকায়ত চুম্বনদৃশ্য,স্তনমর্দিত হাত,মুগ্ধ চোখ ইত্যাদি...
কর্পোরেট প্রেমের মতো মধুঝরা দৃশ্য!আহা!
চোখ বুজে আসে!!
বার্গারে কামড়,আর হাতে কোক নিয়ে প্রেমবোধকে প্রশ্রয় দেয়া যেতেই পারে।অফিস ফেরত হয়ে....
ঝগড়া বাড়ে ফাস্টফুড শপে,পার্কে পার্কে....মীমাংসাকে মধ্যবর্তী করে রেখে।