সমুদ্রের কাছ থেকে তথাগত অসীম জলজ আগ্রাসন তেড়ে আসে,
লোলুপ জীভের ডগায় থুথুর মতো জ্বলজ্বল করে ফসফরাস,
কানের কাছে বাতাসের ফিসফাস বলে ওঠে,
কানের কাছে শৈশবের কৌতুহলী প্রেমিকা বলে ওঠে
জোনাক ধরো!জোনাক ধরো!
রাত্রের সাগরের জোয়ারের জলে আমি হুটোপুটি খেতে খেতে
কুয়াশার ভাঙন শেষ হলে দেখি-
ঢেউয়ের ১৩৫ ডিগ্রী কোনে লেগে আছে ভংগুর চাঁদ,যা কিনা অবিকল জোনাকস্বরুপ!
আমার আশৈশব শিশুরুপী সেই প্রেমিকা এসে দ্যাখে
অজস্র জোনাক আশ্রয় করে আমার শবদেহ
জলের প্রাচীরে আটকে আছে।
তার হাত থেকে খসে যায় হতভম্ব কাচের বয়াম,
সৈকতের পাথরে কোনো কাঁচভাঙার আওয়াজ হয়তো হয়,
আমার কানে এসে তা পৌছায় না।
২.
গভীর রাত,
আমি বিষম সমান্তরাল দুই রেললাইনের উপর
দুটো ছক্কা গড়িয়ে গড়িয়ে আমার গন্তব্য যাচাই
করার চেস্টা করছিলাম।
ছক্কাদুটো গড়িয়ে যাচ্চে,গড়িয়ে যাচ্ছেই।থামছে না।
আমি একটা তারাখসার থেমে যাওয়া দেখি পৃথিবীর বাতসে,হঠাৎ।
তারপর দেখি,
ছক্কা দুটো আমাদের পরস্পর বিরোধী সকল মীমাংসার মতো
করে পলায়ন করেছে সামান্য অমনোযোগে,
পাশের ঝোপে দেখি,
হরিদ্রা...ওহ হরিদ্রাভ হরিদ্রাভা!!
আমি ছুটে যাই কাচের বয়াম নিয়ে,
আমার রাত্রির পথে যে আলোর দরকার
তা-কি আর এই সামান্য জোনাক মশালে মিটবে?
বন্দী করি,অন্ধকারের মিশমিশে হরিৎ সম্প্রদায়ের পতঙ্গসকল।
মিলিয়ে যাওয়া সেই ছক্কাদুটো হঠাৎ পৃথিবী প্রদক্ষিন
শেষে হঠাৎ আবির্ভুত হয় জলজ্যান্ত একটি ট্রেন হয়ে।
কাচের বয়াম ভেঙে যায়।
কাচের বয়াম ভেঙে গিয়ে জোনাক পালিয়ে যায়।
আমার দেহের উপর যেইসব গতির ভগ্নাংশ তার রুপরেখা
অবশেষ রাখে-তা হলো চাকার দাগ।
আমার মাথা খুলিবিহীন হয়ে পড়ে থাকে।
জোনাক ধরার কাঁচের বয়ামের ঢাকনা তবুও তার
নিজদেহ খুজে বেড়ায়,
জোনাক আলোয়।
আহ,হরিদ্রা!হরিদ্রাভ হরিদ্রাভা।