somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুচ্ছবদ্ধ পান্ডুলিপি : মুক্তগদ্য

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডুবে আছ
**************
অতলান্তের নীলে ডুবে যাবে-
বিমুগ্ধ মানবতা।
বৈঠক শেষ হবে মাছেদের।
ইনস্টাগ্রামে লীন হবে ধূসর অপরাহ্ন,
আর ওরা নক্ষত্র হয়ে খসে পড়বে
ব্যবিলনে।
তোমরা তো অজ্ঞাত,ডুবে আছ
ভদকায়।





পিপাসার অবসান চাই
**************************
এখন কোন ছায়াপথে মায়া বিলাও ?
সেই সব কবিতা ভুলে হয়ে গেছ-
প্যাঁপিরাস পাতা।
সন্ধাবাতি জ্বেলেছ কি?
ইদানিং কৃষ্ণপক্ষ।
বরফের জমিনে শুয়ে আছে হরিণ শাবক।
হ্রর্ষ ধ্বণিতে কম্পিত কাঁশবন।
কাঁদছে লিবার্টি।
শকুনের ঠোঁটে ভ্যাঁপসা কাব্য।
নাবিকের চোখে অশ্রু।
এইসব পিপাসার অবসান চাই ।
ফিরে এস টিউলিপ ফুল হয়ে ,রাতের এয়ারে,
নিশাচরী হয়ে।

�� ৯ ভাদ্র ১৪২২।






বিমুগ্ধ বিষন্নতা।
****************
ফ্রয়েডের পাশে হিমায়িত মাছ।
তাদের লেজে বিষম ম্যালেরিয়া,
কেউ কেউ হারিয়ে যায়
হারানোর পূর্বে অনলাইন হয়।
এবং পরক্ষনে অন্যরাও
মগ্ন হয় ট্যাগে। ভাতগুলো হয়ে যায় কাঠবাদাম।তাতে মরীচা ধরে ক্রমাগত।
শহর জুড়ে বিমুগ্ধ বিষন্নতা।
ওই দিকে হাসে ক্রীতদাস।
ততক্ষনে সরীসৃপ ঢুকে যায়
কৃষ্ণগহব্বরে।
সেখানে ব্যালে ডান্সে ব্যস্ত নগরের সব পিয়ানো বাদক।






আধখাওয়া জলপাই
*******************
পোড়া কফিতে মদের গন্ধ আসে। মদের গন্ধে মাতাল কফিন। চার্চ হতে উদগত ঘন্টাধ্বনির স্বরে বিস্মিত বুনিপ। মিশরীয় আত্মারা আফিমে মগ্ন। ওদের নেশা কাটবে মাছের কনকার ইষৎ আঘাতে। ব্যবিলন জুড়ে খরতাপ। খরতাপে বিদ্রোহী হয় আত্মা। আত্মার ক্রোধে হরষিত আত্মীয়। পরমুহূর্তে তানসেনের সাথে স্বাগত সাক্ষাত ফ্রয়েডের। বালিহাঁস সব থেকে ভাল চেনে জীবনানান্দ। দীর্ঘ মৃত্যুর পড়ে তানসেন গান ভুলে যায়,ফ্রয়েডের ছবির রং হয়ে যায় বালিহাঁস। ততক্ষনে জীবনানান্দ উঁড়ে যায় সাঁরস হয়ে। মৃত্যুর পাশে গড়িয়ে যায় আধখাওয়া জলপাই।তাতে কপূর্রের গন্ধ আসে.....






কৃষ্ণপক্ষ রাত : মেডিটেডে ঘটে যাওয়া অমর রাত্রির কল্পনা
****************************
বন্যশিশুর হাঁটুর কাছে গড়াগড়ি খায় বৃত্তাকার অরেন্জ। হঠাৎ অরেন্জ ;হয়ে যায় ইয়োলো। নিকটেই ইউফেরাস মেডিটেডে মগ্ন। মগ্ন ইকারাস ও নিত্য দিনের লেখায়। সব থেকে ভাল জ্ঞাত যে ,প্রমিথিউসে, সে ই ইকারাস। দিব্যস্বপ্নে পিকাসোর সাথে সাক্ষাত ঘটে আমাদের গুণদা'র। অন্তত:আমি দেখি তার কবিতায় উপবিষ্ট আরো একজন পেইন্টার যিনি যামিনী রায়। সে আসে অন্ধকারে প্রতিদিন,কথা বলে আমার আত্মার সাথে। একদিন সে আসত নির্মলেন্দুর কাছে,এবং বলত কি সব এলোমেলো। সবথেকে প্রিয় যে প্রিয়া, তার প্রতি তার আকন্ঠ বিতৃষ্ণা ।এইসব গালগপ্প আমি শুনেছি নেপচুনের কাছে । ও তখনও ট্রপিজিয়ামে আবদ্ধ। ওর চশমার কাচে মরিচা ধরেছে। ও তখনও নাকি মরিচীকা সমন্ধে অজ্ঞাত। আমার বিশ্বাস হত না খিস্ট্রিয় কবরের ওইসব আত্মাদের এইসব বানানো গল্প। তবু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কতবার গিয়েছি ,ক্রুশবিদ্ধ তার চৌকানো জীর্ন কবরটি দেখতে। সেখানেই বন্যশিশুর মুখে তার সদ্য ইয়োলো হওয়া অরেন্জ অর্ধেক গিলে খেয়েছে। ইউফেরাসের ধ্যান ভেঙ্গেছে। মুক্তির আনন্দে জয়ের উল্লাসে প্রমিথিউস মেতে আছে ইকারাসের কালিতে। পোড়া কফিতে তখন গন্ধকের গন্ধ আসে। গুনদা'র দিব্যস্বপ্ন ভাঙন ধরে ছবি হয়ে যায় পিকাসো। যামিনী রায় আর আসে না, সমস্ত সংযোগ বন্ধ ঘোষনা করেছে আত্মার বিরুদ্ধে। টুইটারে তার অতুক্তি। এত সব ক্ষোভ একশ চল্লিশ শব্দে প্রকাশ করা দুস্কর। সে একটা ফেইসবুক আ্যাকাউন্ট খুলবে বলে ঠিক করেছে।
পুনশ্চ:দৃশ্যকল্পটি আমার মেডিটেডে করা কৃষ্ণপক্ষ রাত্রির ঘটনা অবলম্বনে রচিত।





সভ্যতার নেশা
***************
সভ্যতার নেশায় ছুটছি অবিরত। প্রতিটি সভ্যতার মৃত্তিকায় পায়ের আওয়াজ বাজাবোই আমৃত্যু।






তানসেন
*********
তানসেন তোমার দীপক রাগে পুড়তে চাই; আর মেঘমল্লারে ভিজতে চাই বারংবার....**
মনিষীজীবনিতে পড়া তোমার বায়োগ্রাফির আজন্ম প্রেমে পড়ে গেলাম। যদিও ইতোপূর্বে অগনিত প্রেমে সিক্ত হয়েছিলাম।
** যার গানের অলৌকিক মায়াজালে আগুন জ্বলত, বৃষ্টি নামত এবং রাত হত দিন আর দিন হত রাত।






মার্শাল, রাজনৈতিক নেতা বনাম গনিকা
*****************
এবং একে একে মার্শালগুলোর হাতে পিয়ানো তুলে দাও আর রাজনৈতিক নেতাদের হাতে কবিতার বই।
তারা দলগতভাবে পিয়ানোর সুরে কবিতা পড়ুক। অব্যশই তাদের হাতে থাকবে একটা করে টিউলিপ ফুল, রজনীফুরানো মৃত গোলাপের বদলে সাদা রজনীগন্ধা । সেইসব টিউলিপ আর রজনীগন্ধা নিয়ে রতিক্রিয়ায় মগ্ন গনিকাপল্লীতে তারা সুসংবাদ নিয়ে যাক , তারা ঠাই দিক তাদের হাতে বহনকৃত পিয়ানো ,কবিতার বই ,টিউলিপ ও রজনীগন্ধার নিচে। তারা আবদ্ধ হোক শুভ পরিনয়ে। এভাবে সমাপ্ত ঘটুক গনিকার নিষ্ঠুর সময়ের।
মর্শাল তোমরা পিয়ানো বাজাতে থাক................অনবরত কবিতাপাঠে মগ্ন থাক রাজনৈতিক নেতা।






প্লাইস্ট্রোসিনকাল
*****************
আর সেইসব আফিমখোরেরা একদিন
দানিয়ুবের জলে ভেসে যাবে;
একটি সাঁরস উড়ে যাবে.....
নেশা ভাঙ্গার পর।
ভেনিসে উদিত হবে রক্তবর্ণ সূর্য।
লোকসান গুনবে মার্চেন্ট...
ছুঁড়ির ক্ষুরে কেটে নেবে তরতাজা মাংসপিন্ড।
-তোমাদের সেইসব গল্প আমি জেনেছি ,
মহিষের পিঠে চড়ে ,প্লাইস্ট্রোসিন
কালে।

১০ ভাদ্র, ১৪২২






ব্যক্তিগত আত্মদর্শন
********************
আমি তার দর্শন লভেছিলাম,তখন জুনের শেষার্ধ। মনিং থেকে নুন এবং নুন হতে নাইট ক্লান্তিহীন বর্ষনের মাঝে সে এক ঝিলিক হাসি হয়ে লোকালয় রাঙ্গিয়েছিল। সে ছিল বার্চ গাছের মত সরল,স্নো হোয়াইটের ন্যায় ধবল,আবলুস কাঠের মত কালো দুটো চোখের অধিকারী। সে পুতঃ এবং পবিত্র ছিল শেষোক্ত রেইনের জলের মত। রেইনট্রিদের সেকি আনন্দ! তাকে আমি সাইনেসে যখন দেখতাম,গালের দুপার্শে পিংক রংঙের আভা ঝলসে উঠত। তখন পরিজনদের মেকি ভাব বড় অসহ্য লাগত আমার। সে তখন আমার দিকে তাকিয়ে ইয়োলো রংঙে হাসত। সে আমার হার্টবিটের কম্পন বুঝত এমনকি মস্তিষ্কের লেখচিত্র পর্যন্ত। সে ছিল আমার এমনি আপনার, যার বিভেদ অসম্ভব। সে ছিল আমার ব্যক্তিগত আত্মদর্শন, স্মীয় আত্মা।


১০ ভাদ্র ১৪২২





নামকরন করেছিলাম ইয়াবা।
**************************
প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন অতিথি পাখির হার্ট বিটের নাম দিয়েছি আমি ইয়াবা। বিড়ালের ব্যাথিত হ্রদয় আজ উঠেছে নিলামে। ওহে রিকশাওয়ালা, স্লেজগাড়ী চেন কি? তোমাদের নগরে আজ থমথমে রুক্ষতা। কার কথা বলছ ,হ্যামিলিয়ন!! সে ইঁদুর
তাড়ানো ব্যাবসা ছেড়ে হয়ে গেছে ঘোড়াসওয়ার। তক্ষুনি প্রতিটি স্লেজ ,ঘোড়া,বিড়াল আর ইঁদুরের মালিকেরা হয়ে যায় অতিথি পাখি,যাদের হার্ট বিটের নামকরন করেছিলাম ইয়াবা।





বিবিধ মোমেন্টাম
....................................

পৃথিবীর চিবুক ধরে হেঁটে যেতে যেতে আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি হুদহুদ পাখিদের যন্ত্রনা কতটা মর্মান্তিক। জনান্তিকে পুনশ্চ: প্রেম অনাসক্তের আশ্বস্ত করা প্রেমিকার কষ্টের চেয়ে সাইকেল হারানো মুসাফিরের কষ্টকে কখনো বলেছি আমি মরচে পড়া কাঠবাদাম। যদিও হিজল বনে নিত্যকার মতো ফোটাতে চাইনি মূল্যবান টিউলিপ। মহিষের কান্নার মধ্যে সিরামিক ঢেলে আমরা কেউ ভুলতে বসেছি তীব্র উইন্টার। যদিও সন্ধায় ইন্সটাগ্রামে বেজে ওঠেনি গ্রামোফোনের বিষাক্ত কনসার্ট। ওদিকে যৌনতায় পরিপাটি হয়ে কেউ দিব্যি ক্রুশ আঁকা দেখছে। বিবিধ মোমেন্টাম কখনো সখোনো উইন্টারে এসে জড়িয়ে যায় কামাসাক্ত রমনীর চুলের ভাঁজ।


২০ / ১২ / ২০১৫ ।
-পূর্বে আমার ব্যক্তিগত ব্লগ : বাক্যরসিক ও ষড়নীড় 'রে প্রকাশিত।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যোগ্য কে???

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)




(সকল... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতান্ত্রিকভাবে লীগকে ক্ষমতার বাহিরে রাখা যাবে আজীবন।

লিখেছেন শাহিন-৯৯, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩



লীগ সদ্য বিতাড়িত কিন্তু তাদের সাংগঠিক কাঠামো এখনো পূর্বের মতই শক্তিশালী শুধু ছোবল দিতে পারছে না, স্থানীয় নেতারা বিএনপির নেতাদের বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রবেশ করছে তবে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললেন মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১


মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লম্বা রেইসের ঘোড়া মনে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া হতে বেডরুমে যার নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তি আছে তিনি খুব দ্রুত শিখে গেলেন কিভাবে মানুষের মাথা ঠান্ডা করতে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×