আর এই শহরটাকে মনে হচ্ছে,
একটা পিপে ভরা মদ।
লোকজন, ইমারত, কাদাচিৎ গাছেরা
বুদবুদ আওয়াজ তোলে ক্রমাগত।
ইয়ুথক্লাবে থমথমে শূন্যতা;
এবং গির্জাগুলো হাই তোলে আলস্য তন্দ্রায়।
রাজপথ আর সেইসব আভিজাত আবাসিক;
নিদারুন রুক্ষতায় ভর করে।
একে একে ল্যাম্পপোষ্টগুলো ঝিম ধরে যায়,
লেকের জলের আদলে,স্রোতহীনতায়।
আর্টিস্টগুলো মগ্ন হয় তেলরংয়ে-
সিঙ্গারগুলো ক্রমশ হয়ে যায় হ্যারিসনের রক কনসার্ট।
পেইন্টাররা পাবলো।
এবং সমস্ত কবিরা, যারা কবিতা ভুলতে বসেছে-
তারা ফিরে আসে পার্সি বাসি শেলীতে।
তাদের প্রতিটি প্রেয়সী,
যারা বুদ ছিল আফিমে,
তারা কি সুন্দরইনা গান ধরে।
প্রতিটি নেশার পরেই একটা স্বতন্ত্র কন্ঠস্বর;
প্রতিটি কন্ঠস্বর ই স্বতন্ত্র একটা নেশা।
প্রতিটি নগরবাসী ভুলতে বসেছে মৃত্যু যন্ত্রনা
গ্রাস করছে কেয়ামতের উদাসীনতা।
প্রতিটি কাপলের মত ক্যাফেটেরিয়ায় ঢুকে পড়ে আর্মড-পুলিশগুলো।
নি:পৃহ, শীতলতায় উইন্টার আসে।
বিদেশী শৈলীতে ফুটে ওঠে
বাঙালি কবির কবিতার ইমেজ ।
সন্ধা ঘনায়,
অত:পর , প্রতিটি দিনের মত শেষ হয় –
এলোমেলো নগরে।
প্রতিটি এলোমেলো নগরেই কবিতা লেখে
একজন স্বভাব কবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮