পুনঃরূত্থানে অবিশ্বাসী নই ,
নবতর আনন্দে জাগ্রত হব-
বৃত্ত সংহারের পরে; হাশরে।
আমি জ্ঞাত, আবশ্যক সেই লগ্নের-
এবং ক্ষমতাহীনতায় অসর্মথ্য হব,
অপর বদনে দৃষ্টিপাতের।
সর্বদা স্মীয় পাপ মোচনের প্রার্থনায়
ভয়ার্ত হব।
নিরপেক্ষ হাবুডুবু খাব; নিজস্ব ঘর্মসিক্ততায়।
প্রতিক্ষনেই বিচারের সকরুন আর্তনাদে,
ফুঁসে উঠবে মরুৎ;
পবিত্র গুন্জনের কলতানে।
মুখরিত রব রব সম্মিলিত ধ্বনিতে।
সব নিঃস্ফলনের পর -
বিশ্বনবীর পুতঃহস্তাত্তোলনে,
মুহুর্তে হাশর পরিবর্ধিত রূপে ধারিত হবে-
প্রগাঢ়, নিথর, নিশ্চুপ।
একে একে মিমাংসীত হবে; কঠোরাকোমলে
অমিমাংসীতের প্রতিযোগীদের।
এবং খুঁতহীন বাটখারায় মর্পনিত হবে;
পাপ-পুন্মাতার পার্থক্য।
অতঃপর পুলসিরাতের প্রত্যাদেশে-
তীক্ষ্ন ক্ষুরধার কুন্তলের মার্গে,
ব্যবচ্ছেদ হয়ে যাবে পাপাত্ম দেহ।
নিক্ষিপ্ত হবে, বিক্ষিপ্ত নরকে, দাবাগ্নিতে জমীনে।
অপরদিকে সুরক্ষিত প্রবিষ্ট সরনীতে; স্বর্গে-
একে একে ধাবিত, অগ্রসরমান পূর্ণের দল।
নব আনন্দে, নবতম সন্জীবনে
সঞ্চারিত হবে স্বর্গমাঞ্চ।
অবধারিত নিরপেক্ষ বিচারে সর্বস্বের ন্যায় আমিও যাব-
স্বর্গ অথবা নরকে।
হ্যাঁ, আবসম্ভী পুনঃরূথ্থানে অবিশ্বাসী নই ,
নবতর আনন্দে জাগ্রত হব-
বৃত্ত সংহারের পরে; হাশরে।
© মোহাম্মাদ ছাব্বির ।
নারায়নপুর,
১৪ ভাদ্র, ১৪২১।