মহান আল্লাহ পাক সুরা রুম-এর ৪৭ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন,
كَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِي
“মহান আল্লাহ পাক উনার হক্ব হচ্ছে মু’মিনদেরকে সাহায্য করা”
অন্যত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
ان الذين قالوا ربنا الله ثم استقاموا تتنزل عليهم الملائكة
“যারা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মানলো, ইস্তিকামত থাকলো তাদের জন্য গায়েবী মদদ, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম দিয়ে সাহায্য করা হবে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিনি নবীদের নবী, যিনি রসূলদের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক স্বয়ং ফেরেশতা দিয়ে যারা আদম সন্তান রয়েছে তাদেরকে সব সময় কুদরতীভাবে হিফাযত করে থাকেন।”
উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ থেকে সহজে বুঝা যায় যে, যারা হক্বের উপর ইস্তিকামত থাকে মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে গায়েবী মদদ করে থাকেন। তার বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে, মুসলমানদের বিভিন্ন জিহাদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজয় অর্জন। নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যে সকল জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন তার প্রতিটি জিহাদেই শত্রু পক্ষের সৈন্য সংখ্যা, অস্ত্র-শস্ত্র ও অন্যান্য রসদ তুলনামুলক অনেক বেশি ছিল। কিন্তু উনারা সব সময় মহান আল্লাহ পাক উনার ইস্তিকামত ছিলেন ফলে উনারা গায়েবী মদদ পেয়েছেন এবং কাফিরদের উপর বিজয় অর্জন করেছেন। নিচে বিভিন্ন জিহাদ মুসলমান ও কাফিরদের সৈন্যদের তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরা হলোঃ
একইভাবে পরবর্তীতেও মুসলমান প্রতিটি জিহাদে তুলনামুলক কম সৈন্য থাকার পরও গায়েবী মদদের ফলে কামিয়াবী অর্জন করেছেন।
সারা পৃথিবীতে এখন প্রায় অর্ধেক মুসলমান। কিন্তু তারপরও ইহুদী-নাছার-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান সহ সকল অমুসলিমরা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে, উনার শান-মান নিয়ে চু-চেরা করছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানের খিলাফ কথা বলছে, ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করছে, উনাকে ইহানত করে সিনেমা নির্মাণ করছে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সাল্লাম ও হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনার শানের খিলাফ কথা বলছে, মুসলমানদের উপর বরদাসতের বাইরে নির্যাতন করছে, প্রতিনিয়ত হাজার –হাজার মুসলমানকে শহীদ করে যাচ্ছে। কিন্তু মুসলমানরা ঈমানী কুওয়তের অভাবে কোনো প্রতিবাদ করছে না। মুসলমানদের ভুলে গেলে চলবে না যে, মাত্র ৩১৩ জন সৈন্য নিয়ে মুসলমানরা ১০০০ কাফিরের উপর বিজয়ী হয়েছেন শুধু আল্লাহ পাক উনার উপর ইস্তিকামত থাকার কারণে। তাই সারা পৃথিবীর সকল মুসলমানকে আবার সেই ঈমানী কুওয়ত হাছিলের কোসেস করতে হবে, সেই ঈমানী কুওয়ত তাদের মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ইস্তিকামত রাখবে। আর সেই ইস্তিকামত হাছিল করতে বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বায়াত গ্রহন করে, জিকির-ফিকির করতে হবে। তবেই মুসলমানদের উপর গায়েবী মদদ আসবে, মুসলমানরা কামিয়াবী হাছিল করবে এবং তাবৎ কাফিরদের পর্যদুস্ত করে সারা বিশ্বে খিলাফত জারী হবে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৩