যারা বলে থাকে যে, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন বা স্যালাইন নিলেও রোযা ভঙ্গ হয় না- তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল এবং জিহালতপূর্ণ । কেননা, তারা তাদের উক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য একটি দলীলও পেশ করতে পারবে না। পক্ষান্তরে রোযা অবস্থায় যে কোন ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এ ফতওয়াটিই ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য। কারণ এর স্বপক্ষে ফিক্বাহ ও ফতওয়ার নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের অসংখ্য দলীল বিদ্যমান রয়েছে।
যেমন, হিদায়া মা’য়াদ দিরায়া কিতাবের ১ম খন্ডের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ومن احتقن ... افطر لقوله صلى الله عليه وسلم
অর্থ: এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় ... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।
বাহরুর রায়িক কিতাবের ২য় খণ্ডের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
واذا احتقن ... افطر لقوله عليه السلام الفطر مما دخل وليس مما خرج
অর্থ: যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় ... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
ফতওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবের ১ম খণ্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ومن احتقن .. افطر
অর্থ: এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় ... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। অনুরূপ ফতওয়ায়ে শামীতেও উল্লেখ আছে।
অতএব, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হবে।
{দলীলসমূহ: (১) বুখারী, (২) মুসলিম, (৩) মিশকাত, (৪) ফতহুল বারী, (৫) উমদাতুল ক্বারী, (৬) ইরশাদুছ্ সারী, (৭) শরহে নববী, (৮) ফতহুল মুলহিম, (৯) মুফহিম, (১০) মিরকাত, (১১) আশয়াতুল লুময়াত, (১২) লুময়াত, (১৩) শরহুত্ ত্বীবী, (১৪) তালিক্বুছ্ ছবীহ্, (১৫) মুযাহিরে হক্ব, (১৬) মাবছুত, (১৭) মাবছুত্ লি সারাখসী, (১৮) ফতহুল ক্বাদীর, (১৯) আলমগীরী, (২০) বাহরুর রায়িক্ব, (২১) ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া, (২২) হিদায়া মায়াদ দিরায়া, (২৩) শামী, (২৪) বাদায়িউছ্ ছানায়ে, (২৫) খুলাছুতল ফতওয়া ইত্যাদি।}
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৫৩