আওয়ামীলীগ কে আমি চিনিনা কে বি,এন,পি
আমি জানিনা?আমি শুধু আজ এতটুকু বলতে
এসেছি যে ভাল মানুষের পক্ষে দাড়াতে যা লাগে আমি করব।আমি কোন রাজনৈতিক দলকে
সমর্থন করি না।আমি ভাল মানুষদের সমর্থন করি।
ফেসবুক নতুন ইস্যূ পেয়েছে সেলিম ওসমান
সাহেবের করা কাজটা নিয়ে।আপনাদের কথা
বার্তা শুনে মনে হচ্ছে শিক্ষকটার সাথে উনার
পারিবারিক কোন জের ছিল অথবা তার কাছ
থেকে সেলিম সাহেব টাকা চেয়েছিল না
দেওয়াতে উনাকে অপমান করা হয়েছে ঠিক না?
যদি কারন এটা না হয়ে থাকে তাহলে কারনটা
কি রে ভাই?উনাকে কোন ভূতে পেয়েছিল যে
হুটহাট করে নাঃগঞ্জের চাষাড়া থেকে
আড়াইহাজার গাড়ি করে চড়ে ওই শিক্ষকটাকে
এই কান ধরে উঠবস করাবে।
.
যদি ওই লোক ধর্ম অবমাননা নাই করে থাকেন
তাহলে পুরো গ্রামের লোক কেন স্কুলে হাজির
হলেন লোকটার বিরুদ্ধে?আবার তার সাথের
শিক্ষকগন দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই শাস্তির সময়।
তারাও সেলিম সাহেবের পক্ষ কেন নিলেন?
সবার সাথেই শিক্ষকটার দুশমনি ছিল তাইনা?
যার কারনে সবাই মিলে লোকটাকে ফাঁসানোর
চেষ্টা করেছে।এইত কথা।যদি এই কথা না হয়
তাহলে কেন এই ঘটনা ঘটল?সেলিম সাহেবের কি
দরকার ছিল লোকটাকে গিয়ে শাস্তি দেওয়ার?
উনার কি খেয়ে দেয়ে কাজ কম হয়ে গিয়েছিল।
আরে ভাই দেশের বিভিন্ন কোনায় বসে
শিক্ষকের কান ধরার ব্যাপার নিয়ে ছাগলামি
করছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপনারা সেলিম
সাহেবের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।তার কথা
জানতে হলে নাঃগঞ্জ বাসীর কাছে জিজ্ঞেস
করুন।যদি বলে লোকটা খারাপ তাহলে আজ্ঞুল
উঠাবেন অন্যথায় তার উপর আজ্ঞুল তোলার
যোগ্যতা আপনি রাখেন না।
.
শিক্ষকটাকে ধর্ম অবমাননার নামে যখন সারা
গ্রাম ঘেরাও করে তখন সেলিম সাহেব গিয়ে এই
সাধারন শাস্তি দিয়ে লোকটাকে বাঁচিয়ে
আনে।যদি মানুষকে বাঁচানো কোন অপরাধ হয়ে
থাকে তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন।আপনি
চট্টগ্রাম,সিলেট,রাজশাহীর কোনায় বসে
চিৎকার করে বেড়াচ্ছেন সেলিম সাহেবের
বিরুদ্ধে।কারন তার নামের পাশে যে ওসমান নাম
লেখা আছে তাই ধরে নিচ্ছেন উনিও খারাপ।তাই
আন্দোলন হচ্ছে।কেও কেও তো বলছেন উনার
পদত্যাগ চান।আপনার জন্য আফসোস ভাই।কারন
আপনি হীন মনস্কের পরিচয় দিচ্ছেন।এই লোকটার
ব্যাপারে বা এই ইস্যূটার ব্যাপারে ভালভাবে না
যেনেই শুরু করেছেন চিল্লা চিল্লি।হেন করবেন
তেন করবেন।নাঃগঞ্জের ছাত্রসমাজের কাছে
সেলিম সাহেব যে কত সম্মানিত ব্যক্তি তা
আপনার মতো পঙ্গপালের দলেরা বুঝবে না।
.
সেলিম সাহেব লোকটাকে বাঁচিয়ে অপরাধ করল।
আর ওই অপরাধের শাস্তি চাচ্ছেন আপনারা।
ভালই।আর হদিস বানাচ্ছেন একটা ছেলের
সাক্ষিকে।কেন লোকটা কি এই এক ছেলের কানে
কানে গিয়ে বলেছিল যে "ইসলাম ভাল না।হেন
তেন।তাহলে অন্য ছাত্ররা কেন কিছু বলছে না?
এমনকি শিক্ষক চুপ করে রয়েছেন আর আপনারা
কানে ধরে প্রোফাইল পিক দিয়ে লিখছেন "সরি
স্যার।ব্যাপারটা পন্ডশ্রমের মতো হয়ে গেল।কেও
একজন বলেছে যে তোর কান চিলে নিয়েছে।
শুনতেই চিলের পিছনে দৌড় দিল।দেখল না কান
কি তার যায়গায় আছে কি না?আর আপনাদের
ক্ষেত্রে কেও একজন বলল যে "এক স্কুল শিক্ষককে
কান ধরিয়ে উঠবস করানো হয়েছে।আর এতেই
আপনার মাথা গরম হয়ে গেল।কেন করানো হয়েছে
বা রিজন কি ছিল এই ব্যাপার নিয়ে কোন কথাই
শুনতে চান না।তো আপনাদের অবগতির জন্য
জানানো যাচ্ছে যে "পন্ডশ্রমে যেমন লোকটি
কান নিজের যায়গাতেই পেয়েছিল তেমনি পরে
বুঝতে পারবেন সেলিম সাহেবও কাজটা ঠিকই
করেছিল।
.
আজ ইভেন্ট খুলছেন নিজের প্রো পিক কানে ধরা
দিচ্ছেন আরো কতো কিছু করছেন।কার জন্য একজন
শিক্ষকের জন্য।আমজনতার কথাগুলা শুনে আমি
কেমন জানি বোকা হয়ে গেলাম।কিছু কিছু মানুষ
লিখেছে "ধর্ম থাকুক ধর্মের যায়গায় শিক্ষক
সবার উপরে।তারপর কিছু অন্য ধর্মের লোকেরা
দিল হামলা ইসলামের উপর "কি বালের ধর্ম
যাকে নিয়ে কিছু বললে শিক্ষককে হেনস্তা
করবে।এই আরকি অবস্থা।তাদের কোন দোষ নেই।
তারা সুযোগের সৎ ব্যবহার করেছে।মুসলিমরাই
ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করাকে হেয় করল আর
অন্যান্য ধর্মের লোকেরা তো কি করতে পারবে
ভাবলে গা শিউরে উঠে।আর প্রধান কথা হলো
শিক্ষকের এই অবমাননা কে আপনারা ছোট করে
দেখে স্যারের জন্য লড়ছেন মনে রাখবেন স্যার
যখন একজন ছাত্রী ধর্ষন করে তখন কিন্তু এটা
আপনার ঘাড়েই পড়ে।স্যার যখন ছাত্রী ধর্ষন করে
তখন কি স্যারের মর্যাদা উপরে থাকে?তখন কেন
স্যারের পাশে দাড়ান না।ছাত্রী ধর্ষন করা
যেমন অপরাধ তেমনি ধর্ম অবমাননা করাও
অপরাধ।দুটোরই শাস্তি পাওয়া উচিত তেমনি
তিনি পেয়েছেন।এখানে আপনার সেলিম
সাহেবকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত যে নেহাত মৃত্যুর
হাত থেকে তাকে বাঁচিয়েছে।কিন্তু না
আপনারা তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন।আপনি তিলও
জানেন না তালের জন্য মারামারি করছেন।
.
.
ও আমি তো ভুলে গেছি যে শিক্ষক বাবার মতো
হয়।তো বাবার প্রতি ছেলের কর্তব্য সবসময় পাশে
থাকা তাইনা।তো আজ আপনার বাবাকে কান
ধরে উঠবস করানোতে আপনার খুব লেগেছে।
শাহবাগের মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন।
আপনাদের আরেকটা যুক্তি হলো এটা নাকি
সমস্ত শিক্ষককে অপমান করা হয়েছে।তাই
তাদেরও সাথে নিয়ে আন্দোলন করবেন।উনি
আপনার শিক্ষক না হওয়া সর্তেও আপনার
শিক্ষক।কারন পৃথীবির সব শিক্ষকই এক সমান।তো
এর মানি দাড়ায় সব শিক্ষক আপনার বাবা-মা
হয়।তাহলে যখন কোন ছাত্রী ধর্ষন হয় তখন কেন
আপনার বাবার বিরুদ্ধে যান।এটা তো ছেলের
কর্তব্য না।আজ যখন তিনি অপরাধ করার পরও এত
সাপোর্ট পাচ্ছেন তাহলে ধর্ষনের অপরাধী
শিক্ষকটাও সাপোর্ট পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
তখনও কিন্তু আপনার পাল্কার্ড নিয়ে শাহবাগের
মোড়ে দাঁড়ানো উচিত এই লিখে যে "ধর্ষনকারী
অমুক শিক্ষকের মুক্তি চাই।কি ঠিক না?আপনার
কর্তব্য যখন দেখাবেন তখন সবার প্রতি দেখান।
.
আর প্রধান কথা হলো কি এই ইস্যূটা আরো বড় হবে
আরো বেশি প্রতিবাদ হবে কিন্তু তা ২৭ মে
পর্যন্ত।কারন ওইদিন সোহওরার্দী উদ্যানে
নাস্তিক্যবাদ শিক্ষানীতি বাতিলের জন্য
মহাসমাবেশ হবে।এখন এই ইস্যূটাকে তো ঢাকতে
হবে না ভাই।যেমন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিল
ইস্যুটাকে ঢাকতে চেয়েছিল তনু হত্যা ইস্যূ
নিয়ে।কিন্তু লাভ হয়ে নি।এবারো কোন লাভ
হবে না।কারন সত্য তো আর ধামাচাপা দিয়ে
রাখা যায় না।যারা প্রতিবাদ করছে তারা
নিজেও জানে ওসমান সাহেবের বিরুদ্ধে গিয়ে
কিছু করতে পারবে না।তারপরও করছে কারন ওই
ইস্যূকে তো রূখে দিতে হবে।কিন্তু আফসোস
আগেও পারে নি এবারো পারবে না।কিন্তু এটা
কথা সত্য যে যারা শিক্ষকের কানে ধরা বিষয়
পুরোটা না যেনে প্রতিবাদ করছে তারা যেন ওই
ইসলাম অবমাননা কারি শিক্ষকের সঙ্গ দিচ্ছে।
আর উনার যে অপমান হয়েছে বিশ্বাস করুন বা
নাই করুন আপনারও একি দশা হবে।আপনারটা
হয়তোবা এত ভাইরাল হবে না কিন্তু হবে।কারন
অন্যায় করা আর প্রশয় দেয়া সমান অপরাধী।আর
এই অন্যায়ের প্রশয় দেওয়াকে কোন মানুষ নয়
আল্লাহ শাস্তি দিবেন।
.
>লেখায়- Muhammad Arju (পথহীন মুসাফির)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৪