মহানবী (সঃ) এর দ্বারা নির্মিত সর্ব প্রথম
মসজিদ হলো "মসজিদে কুবা" এই মসজিদের মহৎ
এতই ছিল যে মসজিদে নববি তৈরির পরও মহানবী
(সঃ) মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ আদায়
করতেন।মসজিদকে আমরা কি ভাবি?ধর্মীয়
উপাসনালয়,পবিত্র স্থান নাকি অন্য কিছু?
আল্লাহর ঘর।মসজিদ আল্লাহর ঘর।সূরা জীনের ১৮
নাম্বার আয়াত এ আল্লাহ মসজিদকে নিজের ঘর
বলে আখ্যায়িত করেছেন।এখন কথা হলো আল্লাহর
ঘরে কার কথা বলা উচিত আল্লাহ ও তার রাসূলের
নাকি কোন পীরের?নিশ্চই আল্লাহর ও তার
রাসূলের।মসজিদে নববি তে মহানবী (সঃ) তার
সাহাবাদের নিয়ে আল্লাহর কথা বলতেন।কেও
বাধা দেওয়ার ছিলো না কিন্তু আজ যুগ এতটাই
বদলেছে যে মানুষ মসজিদে বসে আল্লাহর ও তার
রাসূলের কথা বললেও হেনস্তার শিকার হয়।
.
হ্যা আমি তাবলিগ জামাতের কথাই বলছি।
খেয়াল করলে দেখবেন শুক্রবার আপনাদের আশে-
পাশের মসজিদ গুলায় কিছু লোক জমায়েত হয়ে
ঈমান ও একিনের কথা বলবে।আমার দেখা মতে
সেইখানে কারো সমালোচনা করে না,কাওকে
ছোট দেখিয়ে কথা বলা হয় না।শুধু বলা হয়
কিভাবে ঈমানকে তাজা রাখতে হয়।এই কথায়
আমি কোন খারাপ দেখি না।কিন্তু শুক্রবার
দেখলাম মানুষ তরিকা নিয়ে ইসলামকে কিভাবে
বিক্রিত করতে পারে।আমি তাবলিগ জামাতের
গুনগান গাইছি না।আমি সত্যের পথে থাকতে
চাই।আমি জানতে চাই সত্যকে যা উনারা বলে
থাকেন।কিন্তু হায় আফসোস সত্য বললে যে দোষ
হয় আমি ভুলে গেছিলাম।
.
শুক্রবার সন্ধ্যায় গলির ভিতর থেকে বন্ধুদের
নিয়ে বের হচ্ছিলাম দেখলাম মসজিদের সামনে
ভিড় লেগে আছে।মসজিদের ভিতরে দেখলাম
কিছু লোক তাবলিগের বসে থাকা লোকদের
মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে।তাদের মাঝে
কিছু বিতর্ক হয়েছিল।কিন্তু কি করার মসজিদ
কমিটিও তাদের বিপক্ষে গিয়ে বের করে দেয়।এক
বন্ধুর ছোট ভাগিনা এসে বলল "দেখস মামা।ওই যে
সাদা পুলিশ কই না হেগো বাইর কইরা দিলো।
হেরা না আল্লাহর কথা কইয়া আমগো মসজিদে
লইয়া আহে।মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দেখলাম
এলাকার প্রতাপশালী লোকগুলা যারা তরিকা
নিয়ে পড়ে থাকে কিন্তু ইসলাম নিয়ে চেতনা
নেই তারা গিয়ে উনাদের উঠিয়ে আসলো।যে
লোকগুলা আল্লাহর কথা বলে তাদের আল্লাহর ঘর
থেকে তাড়িয়ে দিল কয়েকজন সাধারন মানুষ।
ব্যাপারটা আজব লাগল।ইসলামের কিছু হলে যারা
জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে তাদের প্রতি ক্ষমতার
জোড়ে আজ্ঞুল তোলে কথাকথিত মুসলিমরা।
.
সমালোচনা করি না তারপরেও বলছি উনারা
নাকি নবীজির সৈনিক আর এই লোকগুলা নাকি
নবীজির দুশমন।স্লোগান দেয় "নবীজির দুশমনেরা
হুশিয়ার সাবধান।ভালোই লাগে ব্যাপারটা।
যাদের গাল ভর্তি দাড়ি মাথায় টুপি গায়ে
সুন্নতি লেভাজ তাদের নবীর দুশমন বলছে।আমি
ক্লিন শেভ করি আমি নবীর সৈনিক,আমি
মাথায় টুপি দেই না আমি নবীর সৈনিক,আমি
দাড়িয়ে প্রশাব করি আমি নবীর সৈনিক,আমি
অন্যের সমালোচনা করেও আমি নবীর সৈনিক।
এইসব কাজ করা যদি নবীর আদর্শ হয় তাহলে
অবশ্যই ওই লোকগুলা নবীর দুশমন।আর যদি না হয়ে
থাকে তাহলে আপনারা বলে বেড়ান আপনারাই
নবীর দুশমন।
.
নাস্তিক মুরতাদরা ইসলামের বিপক্ষে কথা
বললে এই লোকগুলাই এগিয়ে যায়।তাদের
বিরুদ্ধাচরণ করে ফলে তারা খামোশ হয়ে যায়।
কিন্তু আপনাদের এই কর্মকান্ড গুলা তাদের
সাহায্য করছে তাদের কাজ সহজ করতে।তাহলে
আপনি তাদের বন্ধুর তালিকায় পড়ছেন।যদি
নাস্তিকদের অবস্থা খারাপ হয়ে থাকে তাহলে
বুঝে নিয়েন আপনার অবস্থাও আল্লাহ একি রকম
করবে।নাস্তিকরা মুসলিমদের উপর আঘাত হানে
না শুধু বলে আর লিখে যায় এতেই আল্লাহ তাদের
করুন পরিনতি করে।আর আপনারা তো তাদের উপর
আঘাত করছেন ইসলামকে ক্ষতি করছেন তাহলে
আপনার অবস্থা কি হতে পারে শুধু ভাবার বিষয়।
আমি নির্বিঘ্নে বলতে পারি "ইসলামকে কোন
নাস্তিক মুরতাদ না মুসলিম নাম ধারী কুকুরই
গুলোই ধ্বংস করছে"।সবচেয়ে আজব ব্যাপার হচ্ছে
এক লোক জোড়ে চিৎকার করে বলছে "তোগো
বইতে দিতাম না।এই লইয়া হাই কোর্টে রিট করমু।
হাসি পেয়েছিল কথাটা শুনে।আল্লাহর ঘরের
মেহমানদের নিয়ে হাইকোর্টে রিট হবে।তাহলে
আল্লাহর আদালতে উনার মতো লোকদের বিচার
কতটা কঠিন হবে ভেবে শিউরে উঠি।
.
কথা হলো উনারা নাকি সহি পথে আছে আর
মসজিদে বসে থাকা লোকগুলি ভিন্ন পথে মানি
ধ্বংসের পথে।তো উনারা সহি পথে থেকে
কিভাবে প্রতিটা ওয়াজ মাহফিল রাস্তা ঘাটে
উনাদের সমালোচনা করে তা কিন্তু আমি জানি
না।মসজিদে বসে আল্লাহর কথা বললে সওয়াব হয়
নাকি রাস্তায় দাড়িয়ে ওই লোক গুলার
সমালোচনা করলে সওয়াব হয় তা বিবেকের উপর
নির্ভর করে।কিভাবে ভেবে নেয় তারা যে
সমালোচনা করে তারা সহি পথে বিস্তার
করছে?তাও আবার যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের
কথা বলে তাদের নিয়ে।যারা আল্লাহর কথা বলে
তারা আল্লাহর বাছাই করা লোক আর তাদের
সমালোচনা করা মানি আল্লাহর সমালোচনা
করা।আর আল্লাহর সমালোচকদের কি পরিস্থিতি
হতে পারে তা আল্লাহই ভালো জানে।
.
আসলে কি গাট্টিওয়ালাদের দেখলে মানুষের
মনে হিংসা জাগে।তারা মসজিদের
আবাদকারি।প্রতি নামাজের পরই তাদের কিছু
না কিছু ইসলামিক কর্মকান্ড থাকবেই যা
বাইরের লোকগুলা দেখতে পারে না।তাদের কথা
হলো "আমরা করি না তোদেরও করতে দেব না।
কেন এমন কেন হবে?আপনি যদি আসলেও সহি হন
তাহলে আপনি তাদের কাজে বাধা দিতে
পারেন না।তাদের কাজ খারাপ হলে বুঝাতে
পারেন বাধা দেওয়ার অধিকার আপনার নেই।আর
যদি বাধা দেন তাহলে আপনি সহি নন।আপনি
কি দেখাতে পারবেন আপনাদের কোন কাজে
কোন গাট্টিওয়ালা বাধা দিয়েছে?তারা
আপনাকে বুঝিয়েছি।এখন বুঝা বা না বুঝা
আপনার বিবেকের উপর।আপনার ভালো না
লাগলে রিজেক্ট করেন নয়ত একছেপ্ট করেন।বাধা
দিবেন কেন?
.
কথাগুলা বলতে ভয় করছিল কিন্তু সত্যের কাছে
ভয় টেকে না।জানি কথাগুলা ভাইরাল ভাবে
ছড়িয়ে পড়বে।অনেক হেনস্তার শিকারও হতে
পারি কিন্তু আই হেব টু রাইট ইট।না লিখলে
নিজের কাছেই ছোট মনে হতো।কারন লিখতে
যখন শুরু করেছি তখন সত্যকে সামনে রেখে
নিয়েছিলাম।এখন যদি ভয় পেয়ে না লিখতাম
তাহলে সত্য হেরে যেত আর আমার বিবেক
প্রশ্নবিদ্ধ হতো।নামটা তো আমার মুহাম্মদ
আরজু।একজন মহামানবের ট্যাগ লাগানো আছে।
যাকে সত্যের প্রতীক বলা হতো।আর যদি সত্যটা
না লিখতাম তাহলে তাকে অপমান করা হতো।
আর নিশ্চই আল্লাহ তার অপমানকারিকে ছেড়ে
দিতেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৪