১। হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (র) বলেন, এক নবী দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবত আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা অহির মাধ্যমে তাকে অবগত করালেন, “ আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি”। নবী বললেনঃ হে আল্লাহ, আপনি আমার কোন বিষয় মার্জনা করলেন;আমি তো জীবনে কোন অপরাধই করিনি”। অনন্তর আল্লাহর হুকুমে তাঁর একটি শিরাতে অসহনীয় বিষ-বেদনা শুরু হয়ে গেল এবং বিষম যন্ত্রণায় তিনি সারা রাত নিদ্রাহীন অবস্তায় ছটফট করে কাটালেন। সকাল বেলা আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা প্রেরন করেন। ফেরেশতা এসে বললেন, আপনার মহান রব আল্লাহ বলেছেন “ আপনার দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ইবাদাত আমার দেয়া একটি সামান্য সুস্থ শিরার নেয়ামতের সমকক্ষও নয়।“
২। যাহ্রুর রিয়াদ কিতাবে আছে, হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর সাথে হযরত আজরাঈল (আঃ) এর বন্ধুত্ব ছিল। তাই আজরাঈল (আঃ) প্রায়ই ইয়াকুব (আঃ) এর নিকট আসা যাওয়া করতেন । একদিন হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁকে বলেলেন,” আপনি কি আমার সাথে সাক্ষাতের জন্য নাকি জান কবজের জন্য এসেছেন? জবাবে তিনি বললেন, সাক্ষাতের জন্য এসেছি। অতঃপর হযরত ইয়াকুব (আঃ) বললেন আপনার নিকট আমার একটি আরজি, আপনি আমার জান কবজ করতে আসার পূর্বে আমাকে জানিয়ে দিবেন।“ হযরত আজরাইল (আঃ) সম্মতি জ্ঞাপন করে বললেন, মৃত্যুর পূর্বে অবশ্যই আমি আপনার নিকট তিনটি সংবাদ প্রেরন করব, তখন বুঝে নিবেন আপনার মৃত্যু অনিবার্য।
কিছুদিন পর হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর অন্তিম সময়ে আজরাইল (আঃ) হাজির হলে তিনি তার আগমনের হেতু জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে আজরাইল (আঃ) তাঁর জান কবজের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলেন। তখন হযরত ইয়াকুব (আঃ) বিস্ময়বিমুর হয়ে বললেন, আপনি কি আমার সঙ্গে মৃত্যুর পূর্বে দূত প্রেরন করার প্রতিশ্রুতি দেননি? কিন্তু কই,কোন দূত বা বার্তাবাহক আমার নিকট আগমন করেনি । “ মৃত্যুর ফেরেশতা বললেন, “ হে আল্লাহর নবী আমি ঠিকই আপনার নিকট দূত প্রেরণ করেছি। কিন্তু আপনি টা দেখেননি। আমার প্রথম বার্তা ছিল আপনার কেশরাশির কৃষ্ণতার পর শুভ্রতা, দ্বিতীয় বার্তা ছিল আপনার দৈহিক শক্তির প্রাবল্যের পর দুর্বলতা এবং তৃতীয় বার্তা ছিল, আপনার দেহ সোজা সটান থাকার পর বক্রতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১১