চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময়ের একটা ঘটনা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। ক্লাস নাইনে পড়তাম তখন। আমার সহপাঠী সাদাত (আদর করে ছাত্র-শিক্ষক সবাই সাদ্দাম বলে ডাকত)। আমাদের স্কুলটা আজো চট্টগ্রামের সেরা স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এসএসসির ফলাফলের সাথে দুষ্টামির র্যাংকিয়েও হয়তো আমাদের ছেলেরা বরাবরের মত চ্যাম্পিয়ন। স্কুলের প্রায় সব শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াতেন। আর আমরাও ভাল রেজাল্টের আশায় তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতাম। ক্লাস নাইনে আমাদের ক্লাসটিচার ছিলেন সাত্তার স্যার। ছাত্ররার তাঁকে আদর করে বোতল স্যার ডাকতো। এইধরনের নামকরনের শানেনুযুল অবশ্য জানা নাই। নাইনের বার্ষিক পরীক্ষার পর সেই সাদ্দাম ভাবল ক্লাসটিচার হিসেবে বোতল স্যারকে প্যান্টের কাপড় গিফট করবে যাতে তার রেজাল্টে কোন সমস্যা না হয়। অবশ্য এখন বুঝি এধরনের গিফটের কোন প্রভাব রেজাল্টের উপর পরতোনা। যাহোক, সাদ্দাম বোতল স্যারকে দুটো প্যান্টের কাপড় গিফট করে এবং স্যার তাতে খুব খুশি হন। কাকতালীয়ভাবে সেবার তার রেজাল্ট আগের বারের তুলনায় ভাল হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ক্লাস টেনে স্যার আসেন আমাদের ক্লাসে। সাদ্দামকে দেখেই তিনি গলা ছেড়ে বললেন, "কিরে সাদ্দাম, তুই আমারে কি কাপড় দিছস, প্যান্ট সিলাইতে পারিনাই, দুইটাই বাইট্টা"
আসল ঘটনাটি ছিল, সাদ্দাম ইচ্ছা করেই প্যান্টের কাপড় কম করে কিনেছিল। এমন আরো অনেক ছোট ছোট মজার অভিজ্ঞতায় কেটেছিল কলেজিয়েটের দু'টা বছর।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬