আবরার এর ঘটনা খুবই সাধারন। এতে অবাক হবার কিছুই নাই। এমনটা বারবার হবে, আরও বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক।
আসলেই কি আবরার খুন হয়েছে, নাকি নিজের দেশ নিয়ে কথা বলার, প্রশ্ন করার অধিকার খুন হয়েছে?
আমারা আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কে?
এ দেশ কি আমাদের?
এ দেশ হয় বিএনপির, নয় জামাতের, নাহয় আওয়ামী লীগের। আমারা তো ক্রিতদাস মাত্র, যুগে যুগে শুধু শোষকরা বদল হয়েছে।
বিশ্বজিতের জীবন যেখানে মহড়া এবং আনুগত্য দেখাতে নেওয়া হয়, সেখানে আবরার তো প্রতিবাদ করেছেন, তার জীবন থাকবে কেন?
যেখানে বিশ্বজিতের খুনের বিচার ঠিকমত হয় নাই, সেখানে আবরারের বিচার চাওয়া অনর্থক এবং বোকামি।
তাই আমি বরাবরের মত এই খুনেরও বিচার দাবী করলাম না।
বিঃদ্রঃ শিক্ষিত, একচোখা, বিবেকহীন, লজ্জাহীন যত চেতনাধারী দালাল আছে তাদের কি এখনও লজ্জা হয় না?
আবরারের সেই পোস্টঃঃ
"১.৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২.কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩.কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
"পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।""