৫ম পর্ব
আমি এখানে বাটিক-বুটিকের যাবতীয় খুঁটি-নাটি প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করেছি।
বর্ণিত প্র্যাক্টিক্যাল কাজ গুলো নিজ দায়িত্বে করে নিবেন। আমাকে প্রয়োজন হলে বাসায় ছোলার ডাল, ভেড়ার গোস্ত আর পোলাও করে খবর দিবেন
রেমাজল ডাই
রঙ ১% ফিরোজা
সোডা এ্যাস ১%
লবণ ১%
পানি ৯৬%
প্রণালী-
কাপড় আন্দাজে পানি নিয়ে একটি স্টীলের পাত্রে ঊনানে জ্বাল দিতে থাকুন। পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে তাতে ১% রঙ দিয়ে ভালোমতো নাড়াচাড়া দিন। তারপর সোডা এ্যাস ১%, কস্টিক সোডা ১%, ও লবণ ১% নিয়ে পানিতে মিশাতে হবে। এরপর নির্বাচিত কাপড়টি রঙ এর পানির মধ্যে ২৫-৩০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। সময় শেষ হলে রঙ থেকে উঠিয়ে বাতাসে ঠাণ্ডা করে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে ছায়ায় শুকাতে হবে।
ফাইন গাম
এটি দেখতে সাদা। পাওডারের মতো। ওজননে খুবই ভারী।
এ্যলজিনেট গাম
এটি দেখতে বাদামী। সুজির মতো। ওজনে বেশ হালকা।
গাম প্রস্তুত পদ্ধতি
গাম ৩% (৩ চা চামচ)
পানি ৯৭% (৯৭ চা চামচ)
৯৭% পানি ও ৩% গাম ভালোকরে পানিতে মিশিয়ে ফেটতে হবে। ফেটার অনেক পর দেখা যাবে সাদা স্বচ্ছ জেলির মতো হয়েছে। ছাপার কাজের জন্য এই গাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ্যম্বুস ডাইং
এ্যম্বুস দেখতে বাদামী সাদা পেস্টের মতো।
এ্যম্বুস দুই প্রকার-
১। লিকুইড এ্যম্বুস
২। পাওডার এ্যম্বুস
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে না করলে পাওডার এ্যম্বুস দিয়ে কাজ করলে ভালো হয় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। (চলবে)
(আগের পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১০