somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, পুরুষরা উঁকি দিতে চেষ্টা করবেন না . . . ২

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(২য় পর্ব)

আমি এখানে বাটিক-বুটিকের যাবতীয় খুঁটি-নাটি প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করেছি।

বর্ণিত প্র্যাক্টিক্যাল কাজ গুলো নিজ দায়িত্বে করে নিবেন। আমাকে প্রয়োজন হলে বাসায় ছোলার ডাল, ভেড়ার গোস্ত আর পোলাও করে খবর দিবেন।

ভ্যাট, টাই-ডাই (সলিওবল)
রঙ ১%
সালফিউরিক এ্যসিড ২%
পানি ৯৭%

কার্যপ্রণালীঃ প্রথমে ছোট একটি পাত্রে ১% রঙ পানিতে গুলে প্লাস্টিক অথবা মাটির পাত্রে কাপড়ের আন্দাজ মতো পানি নিয়ে রঙটি ঢেলে দিন। আবার ঐরকম আর একটা পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে সালফিউরিক এ্যসিডে মেশান। প্রথমে কাপড়টি রঙ -এর পাত্রে ডুবান ৫ মিনিট পর এ্যসিডের পাত্রে ডুবান। এভাবে ৫ মিনিট করে ৩ বার রঙ -এ ৩ বার এ্যসিডের পানিতে ডুবানোর পর পরিস্কার পানিতে ধুয়ে ঠান্ডায় শুকাতে হবে। তাহলে আমরা কাঙ্খিত রঙটি পাওয়া যাবে।

ভ্যাট (ইনসলিওবল)
কাপড়ের গজ প্রতি শতকরা হিসাব
রঙ ১% (৩ চা চামচ)
হাইড্রোজ ৩% (৯ চা চামচ)
কস্টিক সোডা ১% (৩ চা চামচ)
পানি ৯৫% (২৮৫ চা চামচ- আনুমানিক)

কার্যপ্রণালীঃ প্রথমে এ্যালুমিনিয়াম বা স্টীলের পাত্রে কাপড়ের আন্দাজে পরিমান মতো পানি নিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ১% রঙ, ৩ % হাইড্রোজ ও ১% কস্টিক সোডা পর পর ঐ ফুটন্ত পানিতে দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। কস্টিক সোডা দে’য়ার সময় সাবধান। পানি উৎলে উঠবে। এবার ফুটন্ত মিশ্রিত রঙ ও কেমিক্যালস এ কাপড়টি ডুবিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। ১০-১৫ মিনিট সেদ্ধ করার পর কাপড়টি উঠিয়ে ঠান্ডা করে ঠান্ডা পানিতে ভালো করে কেঁচে ধুয়ে ছায়ায় শুকাতে হবে।

রঙ এর মিশ্রন (ভ্যাট, টাই ডাই)

১। লাল + কমলা= ইট রঙ
২। লাল + বেগুনী= আলতা
৩। হলুদ + সবুজ= বাতাবী নেবু
৪। হলুদ + কমলা= খাঁটি সোনা
৫। নীল + সবুজ= ময়ূর কাঁঠি
৬। নীল + বেগুনী= ধূসর রঙ।

ভ্যাট রঙ এর হিসাব
(বয়েল কাপড়) যে কোন রঙ ১ তোলা / ১ টা শাড়ী
(মোটা কাপড়) যে কোন রঙ ১.৫ তোলা / ১ টা শাড়ী
হাইড্রোজ ৪ তোলা / ১ টা শাড়ী
কস্টিক সোডা ৪ তোলা / ১ টা শাড়ী

বাটিকে মোম ও অন্যান্য কেমিক্যালস এর পরিমান-
মোম সাদা (প্যারাফাইন) ২৫০ গ্রাম
মোম লাল (বী ওরিস) ২০০ গ্রাম
রজন ৫০ গ্রাম

ঝান্টিং এ মোম ও অন্যান্য কেমিক্যালস এর পরিমান-
মোম সাদা (প্যারাফাইন) ৫০০ গ্রাম
মোম লাল (বী ওরিস) ৪০০ গ্রাম
রজন ১০০ গ্রাম

ব্রাশ এ মোম ও অন্যান্য কেমিক্যালস এর পরিমান-
মোম সাদা (প্যারাফাইন) ৪০০ গ্রাম
মোম লাল (বী ওরিস) ২০০ গ্রাম
রজন ১০০ গ্রাম

মোমের কাজ ও ধারনা
বাটিকের কাজের জন্য যেসব উপকরন গুলোর বেশী প্রয়োজন তার মধ্যে মোম ও রজনের কাজ সবচে’ বেশী। দুই-তিন-চার প্রকারের মোম লাগে। সব প্রকার মোমের সাথেই রজন মেশাতে হয়। যাতে মোমের মিশ্রণটি কাপড়ে লেগে থাকে। এরজন্য নিচে মোম ও রজনের মিশ্রণ তৈরীর একটা শতকরা হিসাব দে’য়া হলো।

মোম (সাদা ) ৫০% গ্রাম/চামচ
মোম (লাল) ৪০% গ্রাম/চামচ
রজন ১০% গ্রাম/চামচ

তবে উপরোক্ত শতকরা হিসাব আমাদের পছন্দমতো নকশার উপর নির্ভর করে। যেমন- আমরা যদি সূক্ষè নকশা করতে চাই বা নকশাটিতে সাদা অংশ বেশী রাখতে চাই ও ফাঁকার অংশ কম আনতে চাই তবে মোমের মিশ্রণের সাদা মোমের শতকরা হিসাব কমিয়ে দেব এবং লাল মোমের পরিমান বাড়িয়ে দেব। তখন মিশ্রণের শতকরা হিসাব দাঁড়াতে পারে-

মোম (সাদা ) ৪০% গ্রাম/চামচ
মোম (লাল) ৫০% গ্রাম/চামচ
রজন ১০% গ্রাম/চামচ

তবে রজনের পরিমান সব ক্ষেত্রেই সমান। আবার আমরা যদি মোটা নকশার কাজ বেছে নিই বা নকশার ফাঁকা অংশ বেশী নিতে চাই তবে মোমের মিশ্রণের শতকরা হিসাব পূর্বের মতোই হতে পারে।

প্রুশিয়ান রঙ এর হিসাব গজ প্রতি-
(১ তোলা = ১ চা চামচ ধরে)
বয়েল কাপড়ে ১ তোলা রঙ/গজ কাপড়
মোটা কাপড়ে ১.৫ তোলা রঙ/গজ কাপড়
পানি ৮০% ২৪০ চা চামচ
লবন ৯% ২৭ চা চামচ
ইউরিয়া ৫% ১৫ চা চামচ
সোডা এ্যাস/
কাপড় কাঁচা সোডা ৫% ১৫ চা চামচ
সময় ১৫ মিনিট পর পর মোট ১ ঘন্টা

কার্যপ্রণালীঃ প্রথমে নির্বাচিত কাপড়টি ১০% - ১৫% ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ছোট একটি পাত্রে গরম পানিতে ১% রঙ মিশিয়ে পেস্ট করে নিয়ে রাখুন ৪/৫ মিনিট। অন্য একটা পাত্রে কাপড় অনুযায়ী ঠান্ডা পানি নিয়ে তার মধ্যে গরম পানিতে পেস্ট করা রঙটুকু মিশিয়ে নিন। এবার কাপড়টি থেকে সাদা পানি নিংড়িয়ে রঙ গুলানো পানিতে ডুবান। এবার ৯% লবন, ৫% ইউরিয়া ও ৫% সোডা এ্যাস ছোট ছোট পাত্রে গুলিয়ে রাখুন। একটু পর কাপড়টি প্রথমে লবন তার পর ইউরিয়া তার পর সোডা এ্যাস গোলানো পানিতে পর পর ডুবিয়ে ১৫ মিনিট করে রাখুন ও ভালো করে নাড়াচাড়া করুন যেন কাপড়ের কোন অংশ ভেসে না থাকে। এভাবে সময় শেষ হলে কাপড়টি প্রচুর পরিমাণ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, যতক্ষন পর্যন্ত না পরিস্কার পানি বের হয়। এবার ছায়ায় শুকাতে দিন।(চলবে)

(আগের পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×