ভাষার মাসে বাংলা বানানের ভূল ও শহীদ মিনারের অপমান ।
ফেব্রুয়ারি মাসটা কে আমরা বাঙালিরা ভাষার মাস বলে থাকি কারণ এমাসে ভাষার জন্য শহিদ হয়েছেন , সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর আর ও নাম না জানা অনেকে । তারা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার দাবিতে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় । সেই দিন থেকে আমরা বাঙালী একুশে ফেব্রুআরি কে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করি । আর এখন সারা বিশ্ব আমাদের একুশে ফেব্রুআরি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে যা আমার গর্বের ও সম্মানের বিষয় । আর ৫২ সালের শহীদের জন্য বাংলাদেশে স্কুল বিদ্যালয়ে, পাড়া মহল্লা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে শুধু বাংলাদেশে বললে ভূল হবে বিভিন্ন দে্শে ও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে শহীদের সম্মান জানানোর জন্য । এই ভাষার মাসে এসে যদি দেখি বাংলা বানানের ভূলের ছড়াছড়ি তাহলে ব্যতীত না হয়ে পারা যায় শুধু এ মাসে কেন সারা বছর বাংলা বানান ও শুদ্ধ করে কথা বলা বা লিখা সকল বাঙ্গালিদের জন্য অব্যশই কর্তব্য । আসুন আমরা বাংলা বানান শুদ্ধ করে বলি ও লিখি । শহিদ দিবসের আগে কিছু কুলাঙ্গার শহিদমিনার দিকে প্রসাব করা অবস্থায় ছবি পোস্ট করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে যা দেখে আমি মর্মাহত, ব্যতীত, ক্ষোভে গা জ্বলছে । এরা কি বাঙ্গালি নাকি জারজ ? শুনেছি বায়ান্ন ধারা নামে একটি আইন পাস করা হয়েছে । বায়ান্ন দ্বারা কাদের জন্য পাস করা হয়েছে সরকারের কাছে জানতে ইচ্ছা করে । নাকি যারা মুক্ত চিন্তা করে, মুক্তিযোদ্ধা মনে ভিতর। লালনপালন করে , বঙ্গবন্ধু কে স্বাধীনতার ঘোষক ও জাতির পিতা বলে সম্মান করে তাদের জন্য । যে সকল কুলাঙ্গার আমাদের শহীদমিনার কে অপমান করে যাদেরকে কি বায়ান্ন ধারা ধরতে পারে না । আর আমাদের দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী জুতা নিয়ে শহিদমিনারে ফুল দিয়েছে যা বিভিন্ন টেলিভিশনের পর্দায় আমরা দেখেছি যা দেখে সকল মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের মানুষ মর্মাহত ও ব্যতীত হয়েছে আর তারা জুতা পায়ে শহীদনিারে যাবে না কেন কতদিন আগে তাদের নেত্রী বেগম জিয়া স্বাধীনতার যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ যে নিহিত হয়েছিল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেনে , সত্যি বলে কী এদেশে অনেকেই বসবাস করে যারা স্বাধীনতাকে মানে না বা বঙ্গবন্ধু কে স্বাধীনতার ঘোষক বা জাতির পিতা মানে না , আসলে এরা পাকি বীর্য দ্বারা তৈরি । সরকারের কাছে আবেদন করব যে সকল ছেলে গুলো আমাদের শহীদমিনারকে অপমান করেছে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ফেইসবুকে আজকাল বাংলা প্রচুর লেখা হয় যা একটি ভাল লক্ষণ কিন্তু অনেকেই সজ্ঞানে বাংলা বানানের ভূল করে যা দেখে আমরা দুঃখে মর্মাহত হই । আসুন মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বাংলা ভাষা বানান সঠিক ভাবে লিখি বা পড়ি । তাহলে শহীদের অাত্না শান্তি পাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬