নিজে নিজে ডাক্তারী করে ঔষধ খেয়ে ড্রাগ রিয়েকশনের কারণে আমার শরীরে সিভেয়ার এলার্জী দেখা দিয়েছে। আমার সারা শরীরে গত তিনদিন যাবৎ এলার্জীতে ভরে গিয়েছ। সেই সাথে শরীরের মাংশপেশী এবং জয়েন্টগুলোতে সিরিয়াস ব্যাথা। চোখ মুখ ঠোট সব ফুলে গিয়েছে। গত তিনদিন যাবৎ আমি বসতে পারি না, বিছানায় শুতেও পারছি না। সারা রাত হাটাহাটি করি। ঘুমের ঔষধও কাজ করছে না।
গত ৮ তারিখ সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে ডা: কামাল সাঈদ আহমেদ চৌধুরীকে দেখানোর পর তিনি একগাদা টেস্ট লিখে দেন। ঔষধ খেতে দিলেন গ্যাস্ট্রিকের পাইলোট্রিপ (হাই পাওয়ারফুল ঔষধ), এলার্জীর জন্য ফেক্সো ১৮০ মি গ্রা, এবং ক্রিমির ঔষধ এলব্যান ডি এস্। এই ঔষধে এলার্জী এবং ব্যাথা কোনটিই কমেনি। পরদিন সকালে ওনার দেয়া টেস্টগুলো(ইউনাইটেড হাসপাতালে ৬৯৯৭ টাকা লেগেছে) করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে শুনি ডা: কামাল সাঈদ আহমেদ চৌধুরী আজ ছুটিতে আছেন। তার বদলে রিপোর্ট দেখলেন ডা: জিয়াউল হক। উনি কেস হিস্ট্রি তেমন শুনলেন না। আগেরঔষধের সাথে ব্যাথার জন্য মায়োলাক্স ট্যাবলেট দিলেন। কিন্তু এদিকে আমার অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল অগত্যা আমি আমার চাচাতো ভাইয়ার বন্ধু পিজি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা: মো: দেলোয়ার হোসেনকে দেখালাম। উনি ইউনাইটেড হাসপাতালের ডাক্তারদের প্রেসকিপ্শন দেখে দেখে হাসতে হাসতে শেষ। এছাড়া উনি অহেতুক এতগুলো টেস্ট করানো হয়েছে দেখে অবাক হলেন।
ডা: মো: দেলোয়ার হোসেন সাথে সাথে আমাকে স্টেরয়েড ইন্জেকশন দিলেন। ঔষধ প্রেস্কাইব করলেন ট্যাবলেট এলার্টল, ট্যাবলেট এজলর, ট্যাবলেট এক্সরিপা, ট্যাবলেট প্রেডনিসোলোন। ওনার দেয়া ঔষধ খেয়ে আল্লাহ্তায়ালার রহমতে আমি সুস্থ হতে যাচ্ছি। আমার ব্যাক্তিগত ধারনা পিজি হাসপাতালের ডাক্তাররা তথাকথিত হাইফাই হাসপাতালের ডাক্তারদের চেয়ে অনেক বেশি আন্তরিক এবং সুচিকিৎসক।
আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। পরিশেষে সবার প্রতি একটা অনুরোধ, কেউ নিজে নিজে ডাক্তারী করে ঔষধ খাবেন না প্লিজ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫১