দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি খবর তরল দুধে দেদারে মেশান হচ্ছে ফরমালিন Click This Link পড়ে হতাশার উপর হতাশা এসে জমা হল। গুড়ো দুধের মধ্যে মেলামাইন, বাংলাদেশের বাজারে অনুমোদোনহিন দুইটি চাইনিজ ব্রান্ডের গুড়ো দুধ এবং গতকালকের টিভি নিউজে জানা গেল চাইনাতে বিস্কুটেও মালামাইন পাওয়া গেছে এই সব খবর শুনে আমাদের হতাশা গ্রস্ত হওয়া ছারা, আর আল্লাহর কাছে এই সকল বিষাক্ত খাদ্যদ্রব্য থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করার দুয়া করা ছারা আমাদের মত সাধারণ মানুষের আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। ভেজালে ভেজালে ভরে গেল আমাদের জীবন।
খুবই খারাপ লাগে যখন শুনি শিশু খাদ্যের মধ্যে ভেজাল, বিশেষ করে দুধের মত প্রধানতম শিশু খাদ্যের মধ্যে। প্রাপ্ত বয়স্করা ভেজাল খাদ্য গ্রহন করলেও বোধ করি আমাদের শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, কিন্তু শিশুদের বেলায় কি হবে?? ইত্তেফাকের খবরে ফরমালিন যুক্ত দুধ খাওয়ার পরিনাম সম্পর্কেও বলা হয়েছে যা গর্ভকালিন মা এবং শিশুর জন্য বড়ই উদ্বেগজনক, পাশাপাশি নারী-পুরুষের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও উদ্বেগজনক। বি এস টি আই এর পরিক্ষার তালিকায় তরল দুধে ফরমালিন এর পরিক্ষার বিষয়ে কিছু না থাকলেও গুড় দুধে ফরমালিন পাওয়ার পর বি এস টি আই তরল দুধেও ফরমালিন আছে কিনা তা পরিক্ষা করে দেখবে।
যত দূর মনে পড়ে বাজারে ফরমালিন যুক্ত মাছ সয়লাব হওয়ার পরে বি এস টি আই কিছু সহজ পদ্ধতি বার করেছিল যা দ্বারা সাধারন জনগন সহজেই বুঝতে পারত কোনটা ফরমালিন যুক্ত মাছ আর কোনটা ফরমালিন মুক্ত মাছ। বি এস টি আই এবং আমাদের সরকারের উচিৎ ফরমালিন যুক্ত দুধের সহজ নির্নয় পদ্ধতি বার করে সাধরন জনগনের নিকট তা দ্রত প্রচার করা যাতে করে আমরা ফরমালিন এর বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।
//** ভুল বানানের জন্য মার্জনতা কামনা করছি। ভুল বানান থাকলে জানান, শুধ্রে নেব।