একদিন
ঘোর অমাবশ্যা। মোর বীণার ঝংকার,মলিনতার-
আবর্তে ছিল ঘেরা। যদিও ছিল তার-
সপ্তসুর,সবার মত।
তবু সে যখনই বেজে উঠছিল,
কলতানে সুর ঝরাচ্ছিল-
তাকে লাগছিল বড় বেসুরো,তালহীন,লয়হীন।
খানিক আগেও ছিল সে আহুত-
হল এখন অনাহুত, ধিক্কৃত!
মৌ ভরা ফুলে যেমন বিষ থাকে,
মধুপায়ী ভ্রমরের বুকে যেরুপ গরল থাকে-
সেরুপ হয়ত সুরেও ছিল।
আর বেসুরের অনাহূত আগমন প্রবল হল,
সেই তুচ্ছ অসুরের হাত ধরে ।
জাগিয়ে ধিক্কার, মূর্ত হল সে ;
অস্ফুট ক্রন্দন না হয়ে হল আর্তচিৎকার!
সব সুরকে ছাপিয়ে,
আগবাড়িয়ে-
বাজল যন্ত্রীর বাদনে। ঢেকে দিল সব,
সুরের প্রকাশ হল নিরবতায় ধূসর!
অনাসৃষ্টি আশ্চর্য ক্ষমতায়-
শেষ করে দিল-সুরের সকল সৃষ্টিকে।
নি:শ্চুপ দাড়িয়ে দেখা হল শুধু
অশুভের সাথে শুভের তিলে তিলে মরন ।