অভাগী বাংলা মায়ের,কী দামাল ছেলে ওরা।
প্রাণের দামে কিনল ভাষা-দিল সুর মুখে তার!
স্মরণ মাঝে যাদের স্থান -বিনত নয়নে ধরা।
ওদের বুকে ছিল বল, আর সাহস-কী দূর্বার!
হায়েনার শত বাধা ভীতি-ভয় তুচ্ছ জ্ঞাণ করে-
ন্যায়ের দাবিতে তুলেছিল শির উচ্চে পূণর্বার !
কত প্রলোভন,কত আশ্বাস যে অবহেলা ভরে-
দিয়েছে ফেলে !শুধু তার মা’র মুখে হাসি ফোটাতে-
রাখতে শুধু ন্যায্য অধিকার আর ভাষার মান!
বায়ান্নর ফাগুন, সে এক মেঘমন্দ্রিত প্রভাতে-
হাসতে হাসতে শহীদ হল,সতেজ কত প্রাণ!
হিংস্র পিশাচ দল- হল মত্ত ,তপ্ত রক্ত পানে,
পথে-রাজপথে ঝরাল কী যে খুনের ঝর্ণাধার!
কত মায়ের যে চোখ ভাসিয়ে-নোনা জলের বানে,
ওরা হল শান্ত। শুনে লাশের প্রবল হুংকার-
কেঁপে উঠল শোষকের গদি! অগত্যা ভীত ওরা,
সেদিন বাধ্য হল খুলে দিতে শৃংখল দুয়ার।
তোমাদের দেখে-কবেকার সেই ভীরু বাঙালীরা-
শিখে গেল - আদায় করেই নিতে হয় অধিকার!
১৮-০২-০৭