সারাদেশ জুরে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ-ভিসিদের নানা ধরনের অনিয়ম - দুর্নীতি ও লাগামহীন কেলেংকারীর বিরুদ্ধে তাদের অপসারনসহ বিচারের দাবীতে ছাত্র-শিক্ষক মহলের লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত আছে। বর্তমান আমলেই শুধু নয় এর পূর্বেও অধ্যক্ষ-ভিসিদের অর্থের/স্বজন প্রীতির বিনিময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, টেন্ডার, বিভিন্ন কেনাকাটা, বিবিধ খাতের অর্থ আত্মসাৎ, ফলাফল জালিয়াতি, ছাত্র-শিক্ষক খুনে মদদসহ বিভিন্ন কেলেংকারীর দায়ে তাদের অপসারণসহ বিচারের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও সরকারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ ও করার নজির দেখা গেছে।
চার দলীয় জোটের সময় দূর্নীতির দায়ে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর এবং বর্তমান সরকারের সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালযের ভিসিকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও যাদের অনিয়ম ও দূর্নীতি তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত তারা হলেন (২০০১ - ২০০৮) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও টাঙ্গাইল মওলানা ভাসানী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। আর বর্তমান সরকারের সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও টাঙ্গাইল মওলানা ভাসানী বিওপ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি। একের পর এক ভিসি অপসারণগত আন্দোলন - ধর্মঘট এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। সম্মানিত পদ সমূহ ক্রমেই যেন তাঁদের উচ্চতা হ্রাস করে ফেলছে।
এরই মাঝে নতুন খবর বরিশাল ব্রজমোহন বি.বি. কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ননী গোপাল দাসের পদাবনতিক্রমে খুলনা বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসিবে বদলী। বিগত আনুমানিক ১০ বছরে উপরোক্ত ভিসি মহোদয়দের কীর্তিতে যেখানে কিছুই হয়নি বা হতে দেখা যায়নি সেখানে অধ্যাপক ননী গোপাল দাস কি এমন মহাকান্ড ঘটিয়ে ফেললেন যে তাকে শুধু বদলীই নয় বদাবনতি ও করা হলো ? ১৯৯৫ সাল থেকে বিএম কলেজের সাথে যোগাযোগ। গেল ২০১০ সালের এম.এস.এস ফাইনাল ও দিলাম দ্বিতীয়বার মাস্টাস পরীক্ষা পাশের জন্য। তৃতীয় বারের ও আশা আছে ওখান থেকেই। স্যারকে দেখেছি কয়েকবার। কথা হয়েছে দুবার। কর্মযজ্ঞে আছি উঁচু মাপের ক্যাডার স্যারদের সাথে প্রায় ০৮ বছর। - - - - - - সে যাই হোক - - স্যারের বদলী ও পদাবনতির আদেশ বাতিলের দাবিতে তাঁর বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা সংক্ষুব্দ অথচ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, মিছিল, সড়ক অবরোধ ও ক্লাশ বর্জন অব্যাহত রেখেছে। সংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য গুনিজনরা দুঃখ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
দূর্নীতির দায়ে ভিসি স্যারদের বিচার ও অপসারণ দাবিতে সারাদেশ যখন কালো অধ্যায়ের হাত থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর লক্ষ্যে আন্দোলনরত, সে মূহুর্তে অন্য আর এক স্যারের পক্ষে তাঁর ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক মহল ক্লাশ ছেড়ে রাস্তায় - - - - - এ যেন অমাবস্যা রাতের আঁধারে এক টুকরো আলোর ঝিলিক।