একুরিয়ামে মাছ পালার শখ কম বেশি সবারই থাকে, মাছের সৌন্দর্য দেখে মনে ভালোবাসা জাগবেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়াটা মুশকিল। আমরা যারা মাছ পালি তারা অনেকেই এই মজার শখটা কিছু বেসিক জিনিস না জানার কারনে ও নিজেদের কিছু ভুলের কারনে ঝামেলার সম্মুখীন হই , পরে মাছ পালা বন্ধ করে দেই।আপনারা যারা নতুন করে আবার মাছ পালা শুরু করতে চান, অথবা যারা একদম কিছুই জানেন না, কিন্তু একুরিয়ামে মাছ পালা পছন্দ করেন, তারা আমার সাথে Bangladesh Aquarists নামের এই গ্রুপ এ নিশ্চিন্ত ভাবে মাছ পালার জন্য যোগ দিতে পারেন।
P.S : গ্রুপে জয়েন করার আগে আপনাকে একটা অনলাইন ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশান প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে হবে এর পরে জয়েন করতে চাইলে আপনার রিকুয়েস্টটি approve করা হবে।
রেজিস্ট্রেশান লিঙ্কটি পেতে গ্রুপ এর description টি দেখুন।
এটি একটি অলাভযোগ্য গ্রুপ ।
লিঙ্ক
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব, সেই গ্রুপের একজন এডমিন “মাহবুবুর রহমান ফাহিম” এর একটি লেখা, যা আমদের মাসিক নিউজলেটারে প্রকাশ করা হয়েছে...
# শ্রিম্প পালনের অ আ ক খ
-- মাহবুবুর রহমান ফাহিম
সম্প্রতি একুরিয়ামে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পালার পাশাপাশি যোগ হয়েছে এক নতুন প্রজাতির– তা হলো আমাদের অতি পরিচিত চিংড়ি বা শ্রিম্প (Shrimp)। বেশ কিছুদিন যাবত খেয়াল করে দেখলাম Bangladesh Aquarist গ্রুপে শ্রিম্প নিয়ে হবিয়িষ্টদের মধ্যে অনেক আগ্রহ। কাঁটাবনে এখন দুই প্রজাতির শ্রিম্প পাওয়া যাচ্ছে – Red Cherry Shrimp (RCS) এবং Crystal Red Shrimp (CRS), দামও তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে কিছুটা কম। Red Cherry Shrimp পাওয়া যাচ্ছে কমবেশি জোড়া ২০০ টাকায় আর Crystal Red Shrimp পাওয়া যাচ্ছে জোড়া ৯০০ টাকায়। আকার বিচারে অন্য মাছের তুলনায় শ্রিম্পের দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে, কিন্তু একুরিয়ামে শ্রিম্প পালার মজাই আলাদা। একুরিয়ামের সবুজে গাছ, পাথর বা ফসিলের ফাঁকে ফাঁকে শ্রিম্প দেখতে আসলেই অসাধারণ লাগে।
রেড চেরি শ্রিম্প
ক্রিস্টাল রেড শ্রিম্প
আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা ও নেটে বিভিন্ন ফোরাম থেকে পড়ে যা বুঝলাম তা থেকে এবার কিছু কথা বলবো। যারা নতুন করে শ্রিম্প পালতে চান তাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ। শত হলেও দামটা কিন্তু একেবারে কম না। তাই শ্রিম্প কেনার আগে সবকিছু জেনে শুনে না এগুলে কেনার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার সাধের শ্রিম্প পটল তুলতে পারে। প্রথমেই ঠিক করে নিন আপনি কি জন্য শ্রিম্প পালতে চান – আপনি কি শুধু একুরিয়ামে শ্রিম্পের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেই খুশি থাকবেন নাকি একধাপ এগিয়ে শ্রিম্প ব্রীড করবেন? যদি ব্রীড করতে চান তাহলে আপনার সেটআপ টা অবশ্যই শ্রিম্প এর বাসযোগ্য করে তৈরি করতে হবে। একটা বিষয় বলে রাখা ভাল তবে সঠিক ভাবে না জেনে ভিন্ন জাতের শ্রিম্পের মধ্যে ক্রসব্রীড করার চেষ্টা করবেন না, কারণ সঠিক ভাবে ক্রসব্রীড করাতে না পারলে হিতে বিপরিত হবার সম্ভাবনা থাকে।
শ্রিম্পের জন্য উপযুক্ত দুইটা সেট-আপ
যাই হোক, এখন কিছু জরুরী বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক।
• ব্রীডিং এর জন্য কিভাবে ট্যাঙ্ক প্রস্তুত করবেন?
যেসব জিনিষ প্রয়োজন হবেঃ
I. একটা ৫ – ১০ গ্যালন / ২০ – ৪০ লিটার ট্যাঙ্ক
II. একটা হীটার (তাপমাত্রা ২৪-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে স্থির রাখার জন্য) (তবে আমাদের দেশে গরম কালে তাপমত্রা এর থেকেও বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন শ্রিম্প ট্যাঙ্কে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে।)
III. গ্রাভেল (কালো বা গাঢ় রঙের হলে ভালো হয় কারণ শ্রিম্প গ্রাভেলের রঙের বিপরীতে নিজের রঙ ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করে। ফলে গ্রাভেল যত গাঢ় রঙের হবে, শ্রিম্পের রঙও তত উজ্জলভাবে ফুটে উঠবে।) তবে গ্রাভেল এর রঙ ও আকার পরিবর্তন করে পরীক্ষা করার অবকাশও এখানে আছে ।
IV. ফিল্টার (স্পঞ্জ ফিল্টার, হ্যাং অন ব্যাক ফিল্টার অথবা টপ ফিল্টার)। তবে হ্যাং অন ব্যাক ফিল্টার অথবা টপ ফিল্টার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথাই রাখতে হবে ফিল্টার এর ইনলেট নেট অথবা স্পঞ্জ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে বাচ্চা শ্রিম্প ফিল্টার এর মধ্যে ঢুকে না যায়।
• ট্যাঙ্ক সাইকেল করার জন্য যা করতে হবেঃ
যদি পুরাতন ফিল্টার হয়ে থাকে তবে ভালো, নতুবা নতুন একটা ফিল্টার কোন একটি পুরাতন ট্যাঙ্কে ৩-৪ সপ্তাহ চালিয়ে নিন। এতে ঐ ফিল্টারে ব্যাক্টেরিয়া কলোনী গড়ে উঠবে। শ্রিম্প নতুন ট্যাঙ্কের সাইকেল প্রসেস সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না। ফলে নতুন ট্যাঙ্কে এমোনিয়া আর নাইট্রেট বেড়ে গেলে আপনার প্রিয় শ্রিম্প বেঘোড়ে মারা পড়বে। মনে রাখতে হবে যে শ্রিম্প ট্যাঙ্কে কোন ভাবেই পাওয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা যাবে না কারণ শ্রিম্প পানিতে অতিরিক্ত আলোড়ন পছন্দ করে না। হ্যাং অন ব্যাক ফিল্টার বা টপ ফিল্টারের ক্ষেত্রেও পানির ইন্টেক লাইন জালি বা পাতলা কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, অন্যথায় ছোট্ট শ্রিম্প বা আরো ছোট্ট শ্রিম্পের বাচ্চাকে ফিল্টার টেনে নিয়ে যাবে। শ্রিম্প ব্রীডিং এ ভালো ফলাফল পেতে হলে আপনাকে কিছু টেষ্ট কিট ব্যবহার করতে হবে পানিতে এমোনিয়া, নাইট্রেট, নাইট্রাইট ও পানির পিএইচ পাবার জন্য। ঢাকার টিকাটুলি বা হাটখোলার সায়েন্টিফিক ইনস্ট্রুমেন্টের দোকানগুলোতে এই টেষ্ট কিটগুলো পাওয়া যায়। প্রধানত দুই ধরণের টেষ্ট কিট পাওয়া যায় – স্ট্রীপ এবং ড্রপ (লিকুইড) টেষ্ট কিট। স্ট্রীপ এর চেয়ে ড্রপ টেষ্ট কীট ভালো কাজ দেয়, কারণ ড্রপ টেষ্ট কীট অধিক সঠিক রিডীং দেয় এবং এর স্থায়ীত্বকালও অনেক বেশী। প্রায় সব টেষ্ট কীটেরই মেয়াদ এবং ব্যবহার পদ্ধতি এর প্যাকেটের গায়ে দেওয়া থাকে।
• ট্যাঙ্কে পানি দেবার পর Dechlorinator ব্যবহার করতে হবে কারণ পানিতে ক্লোরিন এবং ক্লোরামিন থাকলে শ্রিম্প তা সহ্য করতে পারবে না এবং মারা যাবে। পানি দেবার পরে অন্য ট্যাঙ্কে চালু করে রাখা ফিল্টারটা সেট করুন এবং ৩-৭ দিন ফিল্টার চালু করে রাখুন। এই ৭ দিনের পর ট্যাঙ্কে শ্রিম্প ছাড়তে পারবেন।
• প্রথমবার শ্রিম্প কেনার সময় আপনাকে অন্তত পাঁচ জোড়া শ্রিম্প কিনতে হবে। মনে রাখবেন সফল ব্রীডিং এর জন্য পুরুষ ও স্ত্রী মিলিয়ে শ্রিম্প কিনতে হবে। চেরি শ্রিম্প এর ক্ষেত্রে স্ত্রী শ্রিম্পের রঙ সাধারণত বেশী উজ্জ্বল হয়ে থাকে। পুরুষ শ্রিম্পের গায়ের রঙ স্ত্রী শ্রিম্পের চেয়ে কিছুটা ফ্যাকাসে। চেনার আরো একটি উপায় হল স্ত্রী শ্রিম্পের পেটটা একটু বাল্কি হবে।
• ট্যাঙ্কে অবশ্যই কিছু জীবন্ত জলজ গাছ রাখতে হবে। আপনি গ্রাভেলে সরাসরি গাছ লাগাতে পারেন, অথবা পটে গাছ লাগিয়ে ট্যাঙ্কে রাখতে পারেন – তবে গাছ দেওয়া খুবই জরুরী। সহজলভ্য এবং সহজে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এই ধরণের গাছের মধ্যে আছে Cabomba, Hornworth, Anubious, Rotella, Wisteria ইত্যাদি। কাটাবন মার্কেটে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে এই গাছগুলো পাওয়া যায়। একান্তই যদি জীবন্ত গাছ পাওয়া না যায় তবে নিদেনপক্ষে কিছু প্লাস্টিকের গাছ দিতে হবে, তবে জীবন্ত গাছ দেওয়াই ভালো।
• শ্রিম্পের খাবারের চাহিদা খুবই অল্প, ট্যাঙ্কে তৈরি হওয়া শ্যাওলা শ্রিম্প এর জন্য অন্যতম ভাল খাবার। এর পাশাপাশি সপ্তাহে দুইবার মাছের খাবার দেয়া যেতে পারে । সাধারণ একুরিয়ামের মাছের খাবারের দানা একটি পাত্রে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে ট্যাঙ্কে ছেড়ে দিলেই হলো। মনে রাখতে হবে যেন কোনভাবেই অতিরিক্ত খাবার না দেওয়া হয়। দশটি পূর্নবয়স্ক শ্রিম্পের জন্য ৩-৪ টি দানাই যথেষ্ঠ । মাঝে মাঝে শশার টুকরো সেদ্ধ করে দিতে পারেন তবে সেটা ২৪ ঘন্টার বেশি ট্যাঙ্কে রাখা যাবে না। তা না হলে সেটা পচে পানি নষ্ট করে ফেলবে। এর পাশাপাশি catle fish bone (যা সামুদ্রিক ফেনা নামে পরিচিত) এর এক চিমটি পাউডার সপ্তাহে ১-২ বার দেয়া যেতে পারে। এটি শ্রিম্প এর অতি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এর অভাব পুরন করতে সাহায্য করে।
• ট্যাঙ্ক, ফিল্টার আর তাপমাত্রা ঠিক রেখে যদি পরিমাণমতো খাবার দিতে পারেন তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রিম্প বাচ্চা দেবে। স্ত্রী শ্রিম্প তাঁদের পেটে সবুজ বা হলুদ রঙের ডিম বহন করে। সব ঠিক থাকলে হঠাৎ একদিন দেখতে পাবেন শ্রিম্পের ছোট ছোট বাচ্চা গাছের পাতায় লেগে আছে। শ্রিম্পের বাচ্চা দেখতে পূর্নবয়স্ক শ্রিম্পের মতই তবে আকারে অনেক ছোট (প্রায় ২ মিমি.) এবং বর্ণহীন হয়। /// একটি ১০ গ্যালন বা ৪০ লিটারের ট্যাঙ্কে ১০০-১৫০ টির মত পূর্ণবয়স্ক শ্রিম্প রাখা যাবে, তবে নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে ট্যাঙ্কের ২৫% পানি বদলাতে হবে।
শ্রিম্প ট্যাঙ্ক এ স্পঞ্জ ফিল্টার এর ব্যাবহার
• কিছু সতর্কবাণী
মনে রাখতে হবে, পানি বদলানোর সময় বা অন্য কোন সময়ে ট্যাঙ্কের তলা পুরোপুরি সাইফন করা যাবে না কারণ শ্রিম্পের বাচ্চা সেখান থেকে তাঁদের খাদ্য সংগ্রহ করে। আবার অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকলে তা থেকে বিষাক্ত এমোনিয়া এবং নাইট্রেট উৎপন্ন হয়ে শ্রিম্প মারা যেতে পারে। তাছাড়া দূষিত পানি ফাঙ্গাল ইনফেকশন এর কারন হতে পারে আপনার ট্যাঙ্ক এ। মনে রাখতে হবে যে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা যাবে না। যদি পানির এমোনিয়া শুন্য, নাইট্রেট ৫০ পিপিএম এর নিচে এবং পিএইচ ৬.০ – ৭.৫ রাখতে পারেন তাহলেই ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়, আর এজন্য প্রতি সপ্তাহে ট্যাঙ্কের ২৫% পানি বদলানোর কোন বিকল্প নেই। কখনো pH up, pH down, Stress Coat বা এই ধরণের কিছু ব্যবহার করবেন না, এতে ক্ষতি ছাড়া কোন ভালো ফলাফল পাবেন না। শুধুমাত্র Dechlorinator ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এলাকার সরবরাহের পানিতে যদি কোন কেমিক্যাল অতিরিক্ত পরিমানে থেকে থাকে তাহলে RO Filter এর পানি ব্যবহার করতে পারেন। পানি পরিবর্তনের সময় একটি আলাদা বালতিতে পানি নিয়ে পরিমাণমতো Dechlorinator দিয়ে ১-২ ঘন্টা রেখে তারপর পানিটি ট্যাঙ্কে ব্যবহার করবেন। অথবা এজিং করা পানি (এক দুই দিন এয়ার স্টোন চালিয়ে রাখা পানি) ও ব্যাবহার করতে পারেন ট্যাঙ্ক এ।
• ট্যাঙ্কে মাঝে মাঝে শ্রিম্পের খোসা পাবেন যেটা খুবই স্বাভাবিক। শারীরিকভাবে বড় হবার প্রক্রিয়া হিসেবে নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্রিম্প তার দেহের উপরিভাগের খোসা পরিবর্তন করে থাকে। খোসাগুলো দেখতে শ্রিম্পের মতই কিন্তু ফাঁপা এবং বর্ণহীন। পড়ে থাকা এই খোসাগুলো কখনোই তুলে ফেলবেন না কারণ শ্রিম্প এই খোসা শ্রিম্প এর জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। একটি মৃত শ্রিম্প দেখতে দেখাবে গোলাপী বা সাদা রঙের । অন্যান্য জীবিত শ্রিম্পগুলো মৃত শ্রিম্প খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে তবে মৃত শ্রিম্প ট্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে ফেলা টাই বুদ্ধিমানের কাজ।
• আপনি যদি শ্রিম্প ব্রীড করতে না চান তাহলে ট্যাঙ্কে শ্রিম্পের সাথে নিরীহ প্রজাতির অন্যান্য মাছ যেমন গাপ্পী, প্ল্যাটি, মলি, রসবোরা ইত্যাদি রাখতে পারেন। শ্রিম্প ব্রিডিং ট্যাঙ্ক এর একমাত্র মানানসই মাছ হল ওটো মাছ।
• কখনই শ্রিম্প ট্যাঙ্ক এ সরাসরি ওষুধ ব্যাবহার করবেন না।
বাচ্চা শ্রিম্প
হলুদ শ্রিম্প
শ্রিম্প
দুটি পূর্ণ বয়স্ক শ্রিম্প
দেশি শ্রিম্প
শ্রিম্পের আস্তানা
প্ল্যান্ট এর উপর শ্রিম্প
রেড চেরি শ্রিম্প
ক্রিস্টাল রেড শ্রিম্প
আরেকটি সেট-আপ
বাচ্চা শ্রিম্প
আমার শ্রিম্প ট্যাঙ্ক (যদি শ্রিম্প এর বাচ্চা দেখতে চান,তাহলে অন্য কোন মাছ রাখা যাবে না )
একুরিয়ামের মাছের ছবি নিয়ে লেখা আমার আগের পোস্ট
আগের পোস্ট
আমার পরবর্তী লেখা হবে আমাদের গ্রুপ এর মেম্বারদের একুরিয়ামে ব্রিড করা মাছ নিয়ে.।.।
ধন্যবাদ সবাইকে
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯