মে দিবস আসলে আমাদের শ্রমিকদের কথা মনে পড়ে।
মে দিবস আসলে ৫ টাকার জন্য গালে দাগ বসানো রিকশাঅলা মামাদের মনে পড়ে।
হাফহাতা শার্টের মজুরী ১১ টাকা থেকে ২৫ টাকায় নিতে যে শ্রমিকদের অনশনে নামতে হয়, তাদের কথা মনে পড়ে।
ঘামেভেজা শার্টের পেছনে অফিসের পিওনটার কথা মনে পড়ে।
রেলস্টেশনের বাচ্চা কুলিটার কথাও মনে পরে ।
মে মাসের ২ তারিখেই সব আবার আগের মতো..... মে দিবসে গলার রগ ফুলিয়ে ভাষণ দেওয়া শ্রমিক লীগের নেতাটা ঠিকই বাচ্চা কুলিকে বাপ তুলে গাল দেবে।
টক শোতে গপ্পো করা সুশীলটা ঠিকই রিকশাভাড়া ৫ টাকা বেশশি চাওয়ার জন্য গালির বহর শুনাবে।
অফিসের বড়সাহেবের পারিবারিক ঝগড়ার ঝালটা ঠিকই পিওনের উপর দিয়ে যাবে।
মে দিবস যায় আসে, টক শোতে পকপকানি হয়, ব্যানার ফেস্টুন বানানো হয়, আমার মতো কিছু পাব্লিক ফেসবুকে,ব্লগে পোস্ট দেয়..........কিন্তু শ্রমিকেরা শ্রমিকের মতোই রয়ে যায়! তাদের মজুরি ১১ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকায় হয়তো যাবে কিন্তু তাদের সম্মানটা সেই ১৩০ বছর আগের মতোই থাকে।
অবশেষে সেই চিরাচরিত কথা..." শুভ শ্রমিক দিবস"
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৬