নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা সবসময়ই বিতর্কের ভাল টপিক। কিন্তু বিশ্ব নারী দিবসে এই টপিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি পর্যায়ে চলে যায়।
.
নারীরা তেজী কন্ঠে সমান অধিকারের জন্য ক্ষোভ ঝাড়েন আর পুরুষরা নানা খাতে নারীর বেশি সুবিধার জন্য নারীদের উপর একহাত নেওয়ার চেষ্টা করেন।
.
আসলে সমান অধিকার ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
.
ধরা যাক, একজন পুরুষ ও একজন মহিলা একই সাথে মুড়ির টিন মার্কা বাসে উঠলেন। কোনো সিট নেই। মহিলাটি মহিলা সিটে বসার সময় পুরুষটি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সেই সিটে বসে যদি দাঁতগুলো বের করে যদি বলে, "আফা সমান অধিকার" , তখন তা আর সাম্য থাকে না। হয় স্বৈরাচার।
.
আবার যখন কোন ছেলের স্পাইকড চুল, টি শার্ট আর টু কোয়ার্টার প্যান্ট দেখে সেম গেট আপ নেওয়ার চেষ্টা করে আর গলার রগ ফুলিয়ে বলে, "হ্লা, এইটা সমান অধিকার!" তখন তা আর সাম্য থাকে না। কিঞ্চিত বখাটেপনার দিকে চলে যায়।
.
গেট আপ কখনই সমান অধিকারের প্রতীক হতে পারে না। আপনার পার্সোনালিটিই প্রধান। সাম্য চুলে থাকে না। নারীর লম্বা চুল যে কতটা মোহনীয় তা তথাকথিত "সাম্যবাদী" রা কখনই বুঝতে পারে না!"
.
.
আমরা নিজেরাও কিন্তু নারী পুরুষের কার্যাবলি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি ।
.
গফ বফ যখন রেস্টুরেন্টে যায়, তখন বিল দেবার ক্ষেত্রে অর্ধেক টাকা এগিয়ে দিয়ে গফটি বলে না, 'এটা সমান অধিকার'। বরং তখন সে খুব সূক্ষভাবে রেস্টুরেন্টের পাখা ঘোরা পর্যবেক্ষণ করে, দরজা জানালা গুনতে শুরু করে। বিলের ব্যাপারে যেন কোন মাথাব্যাথাই নেই।
.
আবার ছেলেপিলেরাও বেকায়দা অবস্থায় পড়লে বত্রিশটা দাঁত বের করে বলে, "আপু, ল্যাডিশ ফার্স্ট!"
.
.
এসব সাধারণ ব্যাপার প্রতিটা ক্ষেত্রে কখনোই সমতা বিধান করা সম্ভব নয়। এটা সৃষ্টিকর্তাই ঠিক করে দিয়েছেন।
.
যদি একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, ছেলেটা ৪ সাব্জেক্টে পেল ৪০,৬০,৭০,৫০। অপরদিকে মেয়েটা পেল, ৫০,৭০,৮০,২০।
.
এখন ছেলেটা বা মেয়েটা যদি বলে, " সমান অধিকার চাই!" তখন তা হবে মূর্খামি। কারণ সব শেষে কিন্তু সাম্য ঠিকই থাকছে!
.
সাম্য অবশ্যি আপেক্ষিক!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৫