২.
এই করুণার দিকে তাকাও বেলুন, তোমার ভেতর বেহিসবী নিরর্থ ফুঁ দিয়ে আমি দেখলাম নত্রক্ষ বদলে নিচ্ছে তার পথ, পরিক্রমা। এমন দৃশ্যের পর কেঁদে ফেলা যায়। শূন্যতা সেও কি আজ আর নেই! এই তবে ব্যথা? মহাপতঙ্গের নীল ডানা এই আকাশ আমার, তোমার ভেতর হতে রেডিও-ওয়েভ হয়ে আলোর গতিতে ফিরে এসে সুর হয়ে ভেঙে পড়ছি অদৃশ্যে পৃথিবীর ধূসর সন্ধ্যায় নিজের স্নায়ুর কানে; ঠিক আর দেখা হলো না নিখুতঁ পতনের ক্ষত, আমাদের হাওয়ায় ছড়ানো পিষ্ট খুলি এমনই করুণ, অচেনা।
৩.
অন্ধকারে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়া বিহ্বল সাদা উট তোমার উজ্জ্বল দেহ আজ দেখা গেলো সুরের আভায়।
ছাল ওঠা রক্তিম কার্পেট -- এই হলো স্বপ্নের বাহন, তাতে চড়ে মাতালেরা ঘরে ফেরে, কথা কয়। রাত আরও গভীরে এসে ঘুমিয়ে গেলে দেখা হয় সময়হীন এক দেশ; সেখানে আহত সময়ের ভাঙা লাঠির প্রহরা ছাড়া ভূগোলের দিকে হেঁটে আসে ম্যামথের দেহ, তার ক্ষুধা, মৃতের মিছিল; ফল আর নিজেকে এভাবে ধরে না রাখতে পেরে খসে পড়ছে মাটিতে, বাতাসের প্রতিটি অদৃশ্য কণা ঝরে গেছে ফুলের জ্যামিতি হয়ে। হয়তো ঘুমিয়ে পরা রাত্রির চোখের ভেতর গোপনে তার স্বপ্ন দেখে -- একটা যন্ত্রের নাভির ভেতর উড়ে যায় হাওয়া সংবাদ, উচ্ছ্বল হাততালির সুসময়ে খসে পড়া আঙুল লাফিয়ে ওঠে শূন্য ভেজা শীতল বাতাসে। সময়-বিরহ-শূন্যতা-বেদনাহীন এই দেহ, তুমি ভেসে যাও আজ উড়ন্ত শবের মত একা; অন্ধকারে বসে থাকো বোবা রূপসীর যাতনার পাশে।
অগনন বেলুন উড়ে যাচ্ছে অন্ধকারে হলুদ স্বর্গের দিকে। দেখে যাচ্ছি সব।