সারাদেশ আজ আলোচনার বিষয় রূপগঞ্জ । আলোচনা না বলে বির্তক বলাই শ্রেয়। আর বির্তক মানেই আছে পক্ষ আর বিপক্ষ। দেশের মানুষ আজ দুই পক্ষে বিভক্ত। একদল সেনাবাহিনীল পক্ষে আরেকদল জনগনের পক্ষে । এর বাইরেরও আরেকদল আছেন যারা। উভয় দলেরই সমালোচনা করছেন । যেকোন আলোচনার বিষয়ই যখন সামনে আসে ঠিক সেই ইস্যু নিয়ে আমরা আলোচনায় অংশ নেই , নিজেরা পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ হয়ে যাই। আবার অনেক সময় দেখা যায় দুই পক্ষেরই সমালোচনা করে তৃতীয়পক্ষ হিসেবে আর্বিভূত হই। তাদের আমরা বলি নিরপেক্ষ । এই হচ্ছে আমাদের দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক সংস্কৃতি । এই পক্ষ-বিপক্ষ আর নিরপেক্ষ অবস্থানে অংশ নেয়ার পিছনে আমাদের কোন বোধ না স্বার্থ কাজ করে ?
আমার নিজের খুব সাদামাটা নিত্য সাধারণ উদাহরণ দেই ।
আমি যখন রাস্তায় গাড়িতে থাকি তখন রিক্সাচালকদের বিশৃংখল আর বেপোরয়া গতিতে খুব বিরক্ত হই । আর কোনভাবে যদি গাড়ির সাথে রিক্সা লেগে যায় তাহলে আমার ভদ্রতার বালাই ফেলে মুখ দিয়ে গালিও বের হয়ে যায় । ধরে নেই এইসব ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ আছে।
আবার এই আমিই যখন রিক্সায় থাকি তখন সেই গাড়ি চালকদের বিশৃংখল আর বেপোরয়া গতিতে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যদি কোনভাবে রিকশায় লাগে আমি গাড়ির চালকের কলার ধরতে উদ্যত হই। ধরে নেই এইসব ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ আছে।
আবার আমি যখন দর্শক, ধরুন আমার সামনে এমন ঘটনা ঘটলে আমি উভয় পক্ষের দোষ নিরুপনে ব্যস্ত হই।
পক্ষ-বিপক্ষ আর নিরপেক্ষতা অবলম্বনে ফ্যাক্টরগুলো কি এমনই নয়??
নির্ভীক চিত্তে আলোচনায় অংশ নিন।