......... আপনি ওই সময়ে থাকলে কি করতেন ??????????????
কিছু তথ্যঃ...।
* পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলো বাঙালীরা , মোট জনসংখ্যার ৫৮% কিন্তু বাঙ্গালীরা ছিল বঞ্চিত
* পাকিস্তানের রাজস্ব আয়ের ৬০% সরবরাহ করতো বাঙালীরা
* পাকিস্তানের রাজস্ব আয়ের ৭৫% খরচ করত পশ্চিম পাকিস্তানীদে আর বাঙালীরা পেত ৩০%
* পাকিস্তানের রপ্তানী আয়ের ৫৯% আয় ছিলো বাঙালীদের
* পাকিস্তানের রাজস্ব আয়ের ৭০% খরচ করত পশ্চিম পাকিস্তানীদে আর বাঙালীরা পেত ২৫%
*পাকিস্তানের শিল্প বিনিয়োগের ৮০% খরচ করত পশ্চিম পাকিস্তানীদে আর বাঙালীরা পেত ২০%
* পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসের মাত্র ১৬% ছিলো বাঙালী
* পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মাত্র ৫% ছিলো বাঙালী
* বাঙালীদের জন্য ডাক্তার ছিলো প্রায় ৭ হাজার আর পশ্চিম পাকিস্তানীদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার।
* বাঙালীদের জন্য হাসপাতালের বেড ছিলো ৬,০০০ আর পশ্চিম পাকিস্তানীদের জন্য ২৬,০০০
* পশ্চিম পাকিস্তানে ২০ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫ গুন বৃদ্ধি পায়, কিন্ত পুর্ব পাকিস্তানে ছাত্র-ছাত্রী বাড়া সত্ত্বেও প্রায় দেড় হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিয়ে দেয়া হয়।
* পশ্চিম পাকিস্তানে এক মণ চাউলের দাম ছিলো ১৮ টাকা আর পুর্ব পাকিস্তানে ৫০ টাকা
* পশ্চিম পাকিস্তানে এক মণ গমের দাম ছিলো ১০ টাকা আর পুর্ব পাকিস্তানে ৩৫ টাকা
পাকিস্তানের গভর্নর মালিক ফিরোজ খান নুন বলেন- " বাংলার মুসলমানরা নিম্নশ্রেণীর হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় , সুতরাং তারা প্রকৃত মুসলমান নয়"
" আমি দেখেছি তারা বাঙালি মুসলমানদের কাফের ও হিন্দু বলত। এসব বলার প্রকৃত কারন হলো, পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য না মানা। এ ধরনের দোষারোপ করা সত্যের অপলাপের সামিল।ঢাকা এক হাজার মসজিদের শহর । আমি বাঙালি মুসলমানদের পাকিস্তানে অন্যত্র বসবাসরত মুসলমান সম্প্রদায়ের চেয়ে বেশি মাত্রায় ধর্মভীরু দেখেছি। তারা পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান নগরীর সহধর্মাবলম্বীদের থেকে বেশি রক্ষনশীল ও ধর্মের প্রতি অনুরক্ত মনে হয়েছে।পুর্ব বাংলায় মদ বিক্রি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত । পাকিস্তানের রাজধানি ইসলামাবাদে অনূমোদিত মদের দোকানগুলো শুক্রবারেও খোলা থাকতে দেখেছি -যা পূর্ব বাংলায় কখনোই ঘটেনি । করাচি ও লাহোরে যৌন আবেদনমুলক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় এবং ক্যাবারে নাচ হোটেলে চলে, এগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে দেখানো হলে বা চলু হলে সঙ্গে সঙ্গে জনতার রুদ্র প্রতিবাদের শিকার হত।রমজান মাসে পুর্ব বাংলার সম্পদশালী মুসলমানদের কঠোরভাবে রোযা পালন করতে আমি দেখেছি, যা পশ্চিম পাকিস্তানের সমশ্রেণিভুক্তদের মধ্যে দেখিনি । ১৯৭০ সনে কষ্টকর নির্বাচনী প্রচার অভিযানের মধ্যেও শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিদিন রোযা রাখতেন , আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এটা জেনেছি। আমি তার ঢাকার ধানমন্ডির বাসগৃহে সাক্ষাতের জন্য গিয়ে একথা জেনেছি । রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে অন্যান্য নেতাদের সাথে সাক্ষাতে আমার যথেষ্ট ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এদের একজনের সাথে রোযা মাসে আমি খেয়েছি আর একজনের সাথে মদ্যপানেও শরিক হয়েছি। এসব সত্ত্বেও মুজিব ও বাঙ্গালী লোকদের বলা হয় 'কাফের' ।
-- সময়ঃ ১৯৭১।- তৎকালীন পাকিস্তানী সাংবাদিক এন্থনী মাসকারেণহাস
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বলেন- ' ওদের মধ্যে নীচ জাতের মনোভাব এখনো বিদ্যমান'
বাংলাদেশীদের সম্পর্কে তখনকার পশ্চিম পাকিস্তানিদের মনোভাব সম্পর্কে পাকিস্তনের প্রথম শ্রেণীর সাংবাদিক এম বি নাকভী নিচের মন্তব্যটি করেন তার সাক্ষাত'কারে।
It disposed them(Bengali people) as an adversarial role and saw them as antagonists, as virtual enemies.
পাকিস্তানের বাঙালী নেতা আতাউর রহমান খান বলেন - " (পাঞ্জাবী) মুসলীম লীগের নেতারা অদ্ভুত ধারণার বশবর্তী হয়ে আছেন যে আমরা তাদের অধীনস্ত প্রজার জাত এবং তারা বিজয়ী রাজার জাত"
" কী পেলাম আমরা? যে আমরা পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরিব-দুঃখী-নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে। তার বুকের ওপর হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানে সংখ্যাগুরু, আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।"
- ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষন ।
......... আপনি ওই সময়ে থাকলে কি করতেন ??????????????