হোমোফোবিয়া থেকে মুক্তি পান : অধ্যয়ন করুন সহজ প্রণালী : ১৫ মিনিটে আরোগ্য
এই বিশুদ্ধ প্রণালী শিখলে আপনি অচিরেই মুক্তি পাবেন হোমোফোবিয়ার অসুখ থেকে। আজ্ঞে হ্যাঁ এটা অ-সুখ এবং সংকীর্ণতা। যাঁরা শক্ত শক্ত ল্যাটিন শব্দ মনে রাখতে পারেন তাঁদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন পৃথিবীতে কতশত ’ফোবিয়া’ আছে। ”ফোবিয়া” গুলো সবই একধরনের মানসিক অ-সুখ এবং যেমন আরশোলা কে ভয় পাওয়া, বদ্ধ জায়গায় থাকতে ভয় পাওয়া- সব! তবে কি জানেন আরশোলার সঙ্গে আপনার এ জন্মে যদি বন্ধুত্ব নাও হয় তবে আরশোলা কিন্তু অতো দুঃখ পায় না, পেলেও আপনি জানতে পারেন না। কিন্তু হোমোসেক্সয়াল মানুষকে দেখলেই যদি ভয় পান বা জানতে পারলেই তাঁদের এড়িয়ে চলেন তাহলে তাঁরা কিন্তু যারপরনাই দুঃখ পাবেন, তাঁরা যে দুঃখ পাচ্ছেন এটা বুঝতেও আপনার অসুবিধা হবে না বেশিরভাগ সময়েই। এইটা ভুলবেন না।
আমার আজ একটু উওম্যান টু উওম্যান বাক্যালাপ করবো। আলোচনা হবে মহিলা কেন্দ্রিক। কেমন? অতএব বান্ধবীগণ, আজ থেকে আপনাদের আর লেসবিয়ান দেখলে ভয় পেতে হবে না। আর এই প্রণালী বা ক্র্যাশ কোর্স শুরু করার আগে একটা মন্ত্র শিখিয়ে দিচ্ছি, মনে রাখবেন এই কোর্স নেবার পর প্রথম সাতদিন সকালে এটা তিনবার করে বলবেন। এই মন্ত্রের মন্ত্রগুপ্তি নেই কিন্তু! বিশ্বমাঝে ছড়িয়ে দিলে বিদ্যার মত দানে বাড়বে।
মন্ত্রটা শিখিয়ে দেবার আগে এই পদ্ধতির উপকারিতা একটু বিশদে আলোচনা করা যাক-
১. আপনি চিরদিন আধুনিক, জ্যাঠামশাইয়ের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কলেজে পড়ার সময় জিনস্ পরতে শুরু করলেন, সালোয়ার কামিজ পরলেও ওড়না নিতেন না।
২. ফার্স্ট ইয়ারে পড়তে পড়তেই আপনি কলেজে সিগারেট খেতেন, এ নিয়ে কম ঝামেলা হয়নি- আপনার কিন্তু এক গোঁ, ছেলেরা যদি খেতে পারে আপনি কেন না? (তবে এখন ছেড়ে দিন। ছেলেরা যদি বিষ খেয়ে মরে তো মরুক!)
৩. আপনার বাবা গত হবার পর আপনি জোর করে মা'কে আমিষ খাইয়েছেন। সাদা শাড়ির বদলে সরু পাড়ের আকাশী, ম্যাজেন্টা রঙের শাড়িগুলোও আপনিই কিনে দিয়েছেন। বলেছেন কেউ কিছু বললে আপনি বুঝে নেবেন।
৪. আপনার বান্ধবী যখন দশবছরের ছোট ছেলেটিকে টপ করে বিয়ে করে সমাজের চক্ষুশূল হলো তখন আপনিই তাদের প্রথম যুগলে নিমন্ত্রণ করলেন। ওরা যদি পরস্পরকে ভালোবেসে সুখী হয় তাহলে অন্যলোকের কি এসে গেলো?
৫. আপনার ভাই যখন শবনম কে বিয়ে করলো তখন বাবা মাকে বুঝিয়ে শান্ত করেছিলেন আপনিই।
৬. আপনি নিজের বিয়ের সময় জানিয়েছিরেন, ছেলেটি কেমন দেখতে, কী করে, কোন জাতের বা ধর্মের এসবে আপনার কিছু এসে যায় না। কেবল মানুষটা কেমন সেটাই আসল!
শুনুন ভাই, আপনি ঠিক। আপনি আধুনিক। আপনার মনটা উদার। কিন্তু লেসবিয়ান দেখলেই আপনার কী হয় বলুন তো? ঐটা না হলেই কিন্তু আপনি এই আধুনিক পৃথিবীতে একজন আধুনিক নারী হিসেবে দশ এ দশ পেতেন। তাই আপনাকে পূর্ণতা দেবার উদ্দেশ্যেই আমার এই বিশুদ্ধ প্রণালী। না হলে আমার নিজের কী এসে যায় বলুন তো? আমি তো মাস্টারমশাই সবই জানি। না শিখলে আপনিই ঠকবেন।
মন্ত্র : লেসবিয়ানরাও মানুষ। লেসবিয়ানরাও মানুষ। লেসবিয়ানরাও মানুষ।
(এটা মনে মনে পড়–ন - ” তাদের হাত আছে, পা আছে, বুদ্ধি আছে, হৃদয় আছে, সুখ দুঃখ আছে।”)
ব্যস্ এইটা যদি হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন তাহলে স্টেপ ওয়ান এ আপনি সফল। এইবার কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এগোই আমরা-
১. লেসবিয়ান কী (লেসবিয়ান শব্দটির উতপত্তি জানতে চাওয়া হয় নাই। বলিলেই নাম্বার কাটা যাইবে!) কাহাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝাইয়া দাও।
উঃ - লেসবিয়ান কথাটির বাংলা অর্থ হইলো মহিলা সমকামী বা সমকামী মহিলা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো কোনো ব্যক্তির মত অনুযায়ী ”সমপ্রেমী” শব্দও ব্যবহার করা যাইতে পারে। যদিও ইহাতে বিষয়টি আরো ঘোলাটে হইয়া উঠিবে। তাহাতে কিছু আসিয়া যায় না। পৃথিবীর যাবতীয় বিষয়কে স্ফটিকস্বচ্ছ হইতে হইবে এমন মস্তিষ্কের দিব্যি কেহ কাহাকেও দেয় নাই, দিতে চাহিলেও গস্খহণ করা উচিত হইবে না।
যাহা হউক এ দুইটি শব্দ নিয়া তর্ক বিতর্ক না করিয়া বরং দুটি মেলবন্ধন করিয়া প্রকৃত সংজ্ঞা তৈরী করা যাইতে পারে। অর্থাত, সমস্ত সুস্থ শরীর এবং মনের নারীরা প্রেম বা কামের জন্য আরেকটি নারীকেই বাছিয়া নেন তাহারা হইলেন লেসবিয়ান। ইহারা জীবনসঙ্গীরূপে আরেকজন নারীকেই পছন্দ করিয়া থাকেন।
যেমন- (না প্লিজ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা বা ফায়ারের শাবানা আজমী বা নন্দিতা দাস বা প্রাচীন গ্রীক কবি সাফো নয়। একটু চোখ খুলে এদিক ওদিক দেখুন তো তারপর বুকে হাত দিয়ে বলুন, কাউকে চেনেন না আশেপাশে? সত্যিই চেনেন না! এটাকে বলে ডিনায়েল- এটাও কাটাতে হবে কিন্তু!) ঠিক আছে এই উদাহরণ নয় পরেই দিলেন ব্যাপারটা আগে ভালো করিয়া বুঝিয়া লউন।
২. লেসবিয়ান হওয়াটা মানসিক অসুস্থতা? যদি না হয় তাহা হইলে কার্য কারণ বুঝাইয়া দাও।
উঃ - নাঃ!
বলিলাম তো মানসিক অসুস্থতা নহে! ইহার আবার কার্যকারণ কী? ইহা যে মানসিক অসুস্থতা নহে উপরিউক্ত সংজ্ঞাতেই পরিস্ফূট হইয়াছে। মনোনিবেশ করিয়া পুনরায় পাঠ করুন। ইহা তাহাদের নিজস্ব পছন্দ এবং চাহিদা। ত্রিভুবনে কোনো চিকিতসাবিদ্যার গ্রন্থে ইহার চিকিতসা উল্লেখ নাই। আপনি যদি আপনার সমকামী বান্ধবীকে অসুস্থ বলিয়া ভাবিয়া থাকেন তাহা হইলে তাহারও কিন্তু আপনাকে মানসিক অসুস্থ বরলয়া ভাবিতে কোনো বাধা থাকিবে না।
৩. লেসবিয়ানদের কি সন্তান হইতে পারে?
উঃ- হ্যাঁ পারে। কারণ তাহারা জৈবিকভাবে সন্তান ধারণে সক্ষম ফলতঃ স্পার্ম ব্যাঙ্কের সহায়তা গ্রহণ করিতে পারেন। এয়াড়াও দুজন মহিলা একসঙ্গে বসবাস শুরু করিবার পর যেকোনো একজন সিঙ্গল মাদার হিসেবে সন্তান দত্তক লইতে পারেন তবে যৌথভাবে সন্তানের আইনি মাতৃত্ব পাইতে পারে না কারণ আমাদের সংবিধান ও আইন প্রণেতাদের কাছে এই হ্যান্ডবুক তো এখনও পৌঁছায় নাই তাই একটু ঝামেলা আছে।
৪. লেসবিয়ানরা কি মেযে দেখিলেই ঝাঁপাইয়া পড়েন?
উঃ- আজ্ঞে না। তাহাদেরও পছন্দ অপছন্দ আছে। যেসব লেসবিয়ানরা আপনার উপর সহসা ঝাঁপাইয়া পড়েন তাহাদের দুশ্চরিত্র ও লম্পট লেসবিয়ান বলে। ইহাদের ক্ষেত্রে তাহাই করিতে হয় যাহা দুশ্চরিত্র ও লম্পট পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে করা হইয়া থাকে।
৫. লেসবিয়ানরা কি ভালো পুরুষ মানুষের সন্ধান পাইলে তাহাদের বিবাহ করিয়া সুখে শান্তিতে কালাতিপাত করিতে সম্ভব হন? প্রকারান্তে পুরুষ বা ভালো পুরুষের অভাবেই কি ইহারা লেসবিয়ান ধর্ম পালন করিয়া থাকেন?
উঃ- না। একেবারেই নহে। লেসবিয়ান ধর্ম ব্রক্ষ্মচর্য ধর্মের অনুরূপ কিছু নহে। কিছুর অভাবে নারীগণ লেসবিয়ান সম্পর্কে লিপ্ত হন না। ইহা তাহাদের নিজস্ব প্রকৃতি। যেরূপে আপনি পৃথিবীর শেষ্ঠ রমণীর সন্ধান পেলেও রমণে উতসাহী হন না, (নারীদের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ পুরুষ পড়তে হবে) সেরূপ ইহারাও পুরুষকূলচূড়ামণির চাইতে তাহাদের হৃদয়ের কাছাকাছি রাখতে পছন্দ করেন নির্দিষ্ট নারীকেই। ইহাদের সঙ্গে পুরুষদের বিবাহ হলে উভয়ের জীবনই ভয়াবহ এবং দুর্বিসহ হইয়া ওঠে।
(যেসব মহানুভব পুরুষমানুষ নারীজাতির বিচিত্রতায় উতসাহী হইয়া বা সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে বা নিছক কৌতূহল নিরসনের উদ্দেশ্যে এই প্রণালী পাঠ করিতেছেন তাঁহারা শ্রবণ করেন এবং শটকার্টে শিখিয়া লউন- আপনাদের প্রতি এই জাতীয় নারীগণের কিন্তু কোনো প্রকার বিরূপতা বা অভক্তি বা অশ্রদ্ধা আছে এমন নহে। ঠিক যেসমস্ত কারণে আপনি বিবাহ করিবার জন্য আপনার স্ত্রীর ভ্রাতাকে না বাছিয়া সেই ভ্রাতার ভগিনীকেই জীবনসঙ্গিনী নির্ধারিত করিয়াছেন বা চিরকালের প্রিয় বান্ধবীকে বেস্ট ফ্রেন্ড রাখিয়া অন্য এক নারীকে বিবাহ করিয়াছেন ঠিক সেই ধরনের ব্যক্তিগত রুচির কারণেই নারীরা আরেকজন নারীকে বাছিয়া লন।)
৬. লেসবিয়ানদের বিষয়ে কী কী করিবেন? এবং কী কী করিবেন না?
উঃ- তালিকা নিম্নে লিখিত হইলো-
ক) কথা বলিবার সময়ে সঠিক শব্দ নির্বাচন করিবেন। হোমোসেক্সুয়াল নারীদের (বা পুরুষকেও) সংক্ষেপে ”হোমো” বলিয়া ডাকিবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে আপনিও ”হোমো” কারণ আপনি হোমোসেপিয়েন্স এবং বর্তমানে আপনি ”হোমোজিনাইজড” কালচারে বসবাস করিয়া থাকেন।
আপনি নারী সমকামী বা লেসবিয়ানকে ”লেস” বলিবেন না। কারণ ঐ শব্দের অর্থ অন্য- উহা হইলো যাহা টেবিলক্লথের চারিদিকে বা আপনার ব্লাউজের হাতায় বা আপনার কন্যার জামায় ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। আপনি ’লেজ’ ও বলবেন না কারণ উহা একটি ব্যান্ড নেম। ঐ নামের কোম্পানী চমতকার বিভিন্ন ধরনের পট্যাটো চিপস্ প্রস্তুত করিয়া থাকে। ”লেসবো” বলারও কোনো যৌক্তিকতা আপনার কাছে নেই। কারণ ইহা শুনিলেই আমার মত কল্পনাপ্রবণ মনুষ্যগণের কামদেব মদনের পঞ্চবানের কথা মনে পড়িয়া যায়। একমাত্র তাহার ধনুক বা বো তেই লেস্ লাগানো থাকিতে পারে-(”লেস-বো”) যাহাতে ধনুকটিকে সুন্দর দেখায়। এতকিছুর পরে এটাও কি বলিতে হইবে কেন ”লেসবি” বলিবেন না? ঘ্যাঁ বলিবেন না কারণ উহা একটি বাজে কথা, উহার কোনো অর্থ নাই।
খ) আপনি এমন কোনো প্রশ্ন আপনার লেসবিয়ান বান্ধবীকে করিবেন না যাহাতে উহাকে অস্বস্তির মধ্যে পড়িতে হয়। উহার জগতজীবনে এমনিতেই অস্বস্তির সীমা নাই। যেমন-
” তোর কি একটা ছেলেকে বিয়ে করে ’স্বাভাবিক’ জীবনে বাঁচতে ইচ্ছে করে না রে?”
(ইহাই যে উহার পক্ষে স্বাভাবিক তা আপনি এতক্ষণে শিখিয়া ফেলিয়াছেন।)
বা ” তোরা কী করে করিস রে? ”
(আপনি যদি কৌতূহলী হন তাহা হইলে বই পড়িয়া বা ইনআরনেট ঘাটিয়া প্রণালী জানিয়া লউন। কেমন?)
বা ” তুই কি ওর বা ও তোর বৌ?”
(শুনে রাখুন প্রকৃত আদর্শ লেসবিয়ানদের মধ্যে স্বামী স্ত্রী নাই । উহারা যদি স্বামী-স্ত্রী জাতীয় হিসাবে বিশ্বাসীই হইবেন তাহলে কষ্ট করে লেসবিয়ান হইবেন কেন ভাই? উহারা পরস্পরের সঙ্গিনী)
বা ” আমাকে দেখে কি তোর কামনা হয়?”
(এই প্রশ্নটি একেবারেই কেন করিবেন না তাহা পরবর্তী পয়েন্টে পরিষ্কার করা হইলো)
গ) আপনি যদি কনফিউজড (এই ইংরেজি মোক্ষম। বাংলা তর্জমা চাইবেন না প্লিজ। আগের সাধুচলিতের গুরুচন্ডালীর মত ইহা ইঙ্গবঙ্গ গুরুচন্ডালীও অধম করবে কিন্তু। মার্জনা করে নেবেন নিজগুণে) হন তাহা হাইলে সেটা আপনার সমস্যা, বেচারী সমকামী বন্ধুটির নয়। আপনাকে তিনি পছন্দ করেন। এমন একটি প্রশ্ন করিবেন না যাহাতে আপনি তাহার বিরাগ বা কামনাভাজন হইয়া পড়েন। কেমন? ”খ” প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার বন্ধু ইতিবাচক দিয়ে ফেলেন তাহা হইলে দয়া করিয়া এই ছেলেখেলায় লিপ্ত হইবেন না অনুগ্রহ করিয়া। ইতিমধ্যে আপনি যদি সৎভাবে মনে করেন যে আপনার নিজের সম্পর্কে জানিবার প্রয়োজন আছে তাহা হইলে প্রথমেই ব্যবহারিক পরীক্ষায় না গিয়া ” থিয়োরী ” দ্বারা দেখিয়া লউন যে আপনার সত্যিই ” সিধে (স্ট্রেট) ” থাকিতে কোনো সমস্যা হইতেছে কি না। সব জানিয়া বুঝিয়া তবেই একটা ঝুঁকি লইবেন কিন্তু। ঠিক আছে? কারণ ঐ মন্ত্রটা শিখায়িাছিলাম না? হ্যাঁ লেসবিয়ানরা কিন্তু মানুষ, গিনিপিগ নহে।
ঘ) আপনার লেসবিয়ান বন্ধুর অনুমতি ছাড়া অন্য বন্ধুদেও তার প্রকৃতির কথা জানাইবেন না।
ঙ) যদি আপনার লেসবিয়ান বন্ধু দুশ্চরিত্র বা লম্পট না হন তাহা হইলে আপনার শিশুকন্যাকে তাহার সহিত মেলামেশাতে বাধা দিবেন না।
চ) আপনার লেসবিয়ান বন্ধূর সঙ্গিনীকে অন্য সিধে বন্ধুদের জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীদের সমমর্যাদা প্রদান করিতে ভুলিবেন না।
ছ) সত লেসবিয়ান বান্ধবীর সঙ্গে প্রয়োজনে এক বিছানায় শুয়ে ঘুমাইবেন। অযথা উদ্বেগ করিয়া সারারাত জাগিয়া থাকিবেন না (শরীর খারাপ লাগবে সকালবেলায়)। সে কিছু করিবে না।
জ) ইহাদের জন্য অন্য মানুষদের সহিত (যাঁরা এই প্রণালী শেখার সুযোগ পান নি) বচসা করুন। তাহাদের মধ্যে এই বিদ্যে ছড়াইয়া দিন।
এরূপ সহজ, সরল শিক্ষালাভের পরও যদি আপনি অন্ধকারেই থাকিতে চাহেন তাহা হইলে আমার কিছু করিবার নাই ভাই। যেভাবেই বলি না কেন আপনার হইবে না! বুঝিয়াছেন?
আমি আমার এক প্রিয় বাংলাদেশীর ভাষা ধার করতে পারি - মোক্ষম! বন্ধনীর ভিতরে আমার নামের স্থানে নিজের নাম বসাইয়া লউন -
” (শ্রাওস্তী) তোমারে আমি বলসি না? আমার ধারণা আমি বলসি! তুমি কিসুতেই বুসহো নাই। অ্যাতো গোবর হেডেড হইলে ক্যামনে হবে?”
শ্রাবস্তী বসু
ডিসেম্বর ১৫,২০০৮
- লিখাটি বন্ধুর বন্ধুর মাধ্যমে পাই। এবং লেখেকর অনুমিতক্রমে ব্লগে প্রকাশ করা হলো। লেখক কলকাতার, বর্তমানে স্ক্রিপ্ট রাইটিং পেশায় নিযুক্ত