ফেসবুকে আপনি কি করতে এসেছেন? আপনার করা যে কোন শেয়ার বা মন্তব্যের আগে একবার ভাবুন।
আমরা কেউ এসেছি নিজের পরিবার বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে, কেউ এসেছি সেলিব্রেটি হতে, কেউ এসেছি নেকি কামাতে, আবার কেউ এসেছি স্মার্ট ফোনের বদৌলতে। শেষের শ্রেনীতে বেশীর ভাগের ইন্টারনেট সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একটা স্মার্টফোন থাকা জরুরী সবার। সেই সুত্র ধরে ফেসবুকে। এই শ্রেনীটা নিয়েই আজ কিছু বলতে চাই।
গত কিছু দিন ধরে আমার টাইম লাইনে বেশ কিছু বিব্রতকর ছবি দেখতে পাই। ছবিগুলো আসে আমার ফ্রেন্ড লিষ্টের কিছু সন্মানি লোকদের লাইক কমেন্টের সুত্র ধরে। সন্মানি বলতে আমার ব্যক্তিগত পরিচয়ের কথা বলছি। ফেসবুকে ইদানিং তথাকথিত কিছু পেজে সেমি এডাল্ট ছবি পোষ্ট করে বলা হচ্ছে লাইক দিয়ে যাদু দেখুন, কমেন্ট করে যাদু দেখুন, এটা লিখে মজা দেখুন। আর আমার ফ্রেন্ডলিষ্টের আমার বস অথবা আমার চাচা মামা বা শ্রদ্ধেয় বড় ভাইটি কমেন্ট করে বসে আছেন যাদু দেখার জন্য। আমার এই লেখাটি যদি আপনাদের কারো নজরে আসে তবে হ্যা আপনাকেই বলছি, খেয়াল করে শুনুন।
ফেসবুকে করা আপনার প্রতিটা লাইক প্রতিটা কমেন্টস আপনার ফ্রেন্ডলিষ্টের সবার নিউজফিডে চলে যাচ্ছে। নিউজফিড কি বুঝেন তো? আপনি ফেসবুক খুলেই যেখানে ভন্ড পেজ গুলোর ঐ ১৮ লেখার অফার গুলো পান ঐ পেজটাকেই নিউজ ফিড বলে। এখন ভাবুন, আপনার ফ্রেন্ডলিষ্টে থাকা আপনার জুনিয়র যদি দেখে আপনি অর্ধেক বুক খোলা একট মেয়ের ছবিতে কমেন্টস করছেন বুকের পুরাটা দেখার জন্য, কিংবা লোভনীয় শরীরের মেয়েটির ছবির নিচে কমেন্টস করছেন তার ফোন নাম্বারটি আপনার ইনবক্সে চলে যাবে এই আশায় তবে ভাবুন আপনার ইমেজটি কোথায় গেল? যে আপনাকে রাস্তায় দেখা হলে সালাম দিয়ে চলতো সে কি আপনাকে আর ঐ আসনে রাখতে পারবে? কিংবা আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা আপনার সম্পর্কে কি ভাববে? নিশ্চয় আপনার সদ্য খোলা ফেসবুক একাউন্টে আপনার ছোট ভাই কিংবা আপনার ভাগ্নে ভাগ্নি আছে, অথবা আছে আপনার অফিসের সিনিয়র, জুনিয়র কিংবা কলিগ।
সো ফেসবুকে কিছু করার আগে ফেসবুক কি জিনিস সেটা আগে বুঝুন। নিজেকে অন্যের কাছে হাসির পাত্র বানাবেন না। আর হ্যা আপনি যে এটা সেটা পেজে লাইক দিচ্ছেন সেটাও কিন্তু গোপন থাকছে না। এটা সেটা বলতে কি বুঝিয়েছি বুঝেছেন? আমি ১৮+ পেজের কথা বলছি। কিছু কিছু ভাই ব্রাদার দেখছি রেডিও মুন্না, রেডিও স্বাধীন শেয়ার দেয় আবার চটি পেজে লাইক মারে। উজবুকের তো একটা সীমারেখা থাকা উচিত। উজবুক না ভন্ডামী বলবো? ফেসবুকে আল্লাহ খোদা শেয়ার দিলে কোন নেকী পাওয়া যায় কিনা আমি জানি না, এবং সেটা করলে আপনি শুধু সেটাই করেন। কিন্তু জগাখিচুড়ী পাকায়েন না। ইটস রিয়েল ইরিটেটিং ফর আদারস। gOt iT?
লেখাটি এই পর্যন্ত লিখে থেমে গেছিলাম। পোষ্ট করার আগে পুরোটা পড়ে মনে হল আমি আপনার ওপর রাগ করলাম। কিন্তু না, আমি বিষয়টাকে আপনার অজ্ঞতা ভেবেই ইগনোর করলাম। আমি বুঝতে পারছি ফেসবুকের ব্যপ্তি সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা ছিল না। তবে আমি আশা করবো এখন থেকে একটু সচেতন হবেন। নিজের সন্মান বজায় রাখুন। পাবলিক্যালি নিজেকে ছোট বানানোর কোন মানে হয় বলুন?