তুমি
উত্তপ্ত শরীর নিয়ে আমি বহুক্ষণ ঠিক সেই বেদীটির পাশে-
চুপচাপ; রৌদ্র করোটিতে আমার স্নাত মুখ দেখে
তুমিই হঠাৎ বলে ফেললে 'কি অসভ্য সুন্দর'।
শুনে আমার অসভ্যতা করে সমস্ত সুন্দরকে বিলিয়ে দিতে মন চাইলো।
পাশ দিয়ে দু'ফালি পথ - কিছুদুর যেতে না যেতেই
জংলা বন দু'পাশ থেকে ঘিরে ধরে-
তার মাঝ দিয়েই কিছু দুরে নদী - নিথর
ঢেউহীন অথচ কোন লালসা নেই
জানি তবু আমি সেখানেই কোন একদিন
শীতল করে ফেলবো আমার উত্তপ্ত শরীর।
আমি
বুকের ভেতর শন শন শব্দ-
অলুলায়িত ললনার হৃদয়ের সমস্ত নিংড়ানো জল
প্রচণ্ড আক্রোশে এদিকে ধাবমান-
কিংবা প্রলয়-
ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় আমার সমস্ত ঘর অন্ধকার
বিগত কয়েক হাজার সন্ধ্যায় বসে বসে
যে সকল রাতকে শীতল বানিয়েছি
আমার সম্মুখে প্রলয় হয়ে সব
ভাসিয়ে নেবার আক্রোশ কিংবা ভালবাসা।
অসভ্যতা
বুকের ভেতর ধারাল শুড় ঢুকিয়ে আকন্ঠ পান করে নিই
জমে থাকা সমস্ত ব্যাথা- ভনভনিয়ে গিয়ে বসি
আগাগোড়া রক্তে মোড়ানো বেদীটার পাশে
সেখান থেকে নদীর কিনারে-
তারপর ভক করে উগরে দিই সবটুকু-
আহ্ !! আমি যে নতুন মানুষ !!