চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সরকারী কলেজের শিক্ষকরা সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে কোচিং এ পড়তে বাধ্য করছে। বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতির আলোকে ২০১১ সালে এক প্রজ্ঞাপনে এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জেলার অধিকাংশ শিক্ষকই তা মানছে না। তারা স্কুল, কলেজগুলোর শ্রেণি কক্ষসহ নিজ নিজ বাসায় কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় কাটাছে। দর্শনার কলেজে থেমে নেই এ কোচিং বাণিজ্যে। এখানে কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম অনেকটা জোড় করে ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করতে বাধ্য করাচ্ছেন।
শুধু রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম নয়, গণিত, পদার্থ, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল বিষয়ের শিক্ষক এই কোচিংএর সাথে যুক্ত। ফলে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত ধংসের মুখে। ছেলেমেয়েরা কোচিং কতে পারে। কিন্তু না কলেজ করার পড়। কিন্তু কলেজে ক্লাস নেবার কোন বালায় নেই। কোচিং এ পড়তে হবে। না পড়লে ফেল করিয়ে দেয়ার ঘোষনা।
দর্শনা সরকারী কলেজের লিন্ডা, সুমাইয়াসহ একাধিক ছাত্রছাত্রী অভিযোগের সুরে বলেন দর্শনা সরকারী কলেজে ভর্তি হয়ে তারা যে কি ভুল করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করাাসম্ভব নয়। কলেজের শিক্ষকদের কাছে না পড়লে তারা ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করে দেবার হুমকি দেয়। তাই পরীক্ষায় ফেল করার ভয়ে আমার মতো অনেকেই আমাদের কলেজের শিক্ষকদের কাছে কোচিং করেন। এমনকি সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক ১৫০ টাকা করে নেবার কথা থাকলেও সে নিয়মটিও তারা মানছেন না। প্রতিটি বিষয়ের জন্য রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম নিচ্ছে ৫০০ টাকা করে।
এ বিষয় দর্শনা সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ছেলেমেয়েদের কোচিং করানোর কথা স্বীকার করলেও অতিরিক্ত অর্থ নেবার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন ছেলেমেয়েরা ভালবেসে আমাকে ৫০০ টাকা দেয় । হায়রে আমার ভালবাসা। ভালবেসে নিাকি 500 টাকা দেয়।
কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী অভিভাবক বাবুল বলেন তরিকুল স্যারের কাছে না পড়লে তিনি প্র্যাকটিক্যালে ফেল করিয়ে দেবে। তাই সেই ভয়তে আমার মেয়েকে কলেজের স্যারের কাছে পড়ায়।
এ শিক্ষক রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হয়েও গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান পড়িয়ে যাচ্ছেন এবং প্রতিটি ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ১০০০-১৫০০ টাকা নিচ্ছেন। এমনিভাবে দর্শনা সরকারী কলেজের শিক্ষকরা মেতে উঠেছে কোচিং বাণিজ্যে। সচেতল মহলের দাবী দ্রুত এ শিক্ষককে দর্শনা কলেজ থেকে অপসরন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবী করেন।