(ছবিটি চট্টগ্রামস্থ চৌমহুনি মোড় থেকে তোলা। কৃতজ্ঞতায়ঃ লেখক)
(অনলাইন পত্রিকা সংস্করণ- জাগোনিউজ২৪ডটকম- Click This Link )
‘‘মা কথাটি ছােট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই,
ইহার মতো নামটি মধুর ত্রিভূবনে নাই..!”
মায়ের জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন। তবু আজ একটু বিশেষভাবে মাকে ভালোবাসা জানানোর দিন। মায়ের প্রতি আর একটু বেশী যত্নবান হবার দিন। সারাজীবন মা সন্তানকে কেবল দিয়েই যান। মায়ের মমতার সাথে পৃথিবীর কােন কিছুর তুলনা হয় না। মা দীর্ঘ কষ্ট সহ্য করে সন্তান জন্ম দেন। তারপর সন্তানের যত্নে নিজের সমস্ত ধর্য্য, সমস্ত সময় উজার করেন। সই চিরন্তণী মমতাময়ী মায়ের ঋণ একজীবনে আর কতটুকুইবা শােধ করা যায়।
বাস্তব জীবনের ব্যস্ততার কষাঘাতে আমাদের দিনের বেশীর ভাগ সময় ঘরের বাহিরে থাকতে হয়। কেউ নিজ শহর ছেড়ে অন্য শহর, কেউবা আবার নাড়ীর বাঁধন মাকে ছেড়ে দুর পরবাসে জীবিকা নির্বাহ করছেন বছরের পর বছর। সাথে থাকে শুধু মায়ের অকৃপণ ভালাবাসা আর আশীর্বাদ। এ নিয়েই একজন সন্তানের পথচলা। কতদিন কতরাত মা তার কলিজার ধন ছেলেক দেখে না। শুধু মা নীরবে কাঁদে। আর পথ চেয়ে চেয়ে চক্ষুশূল হয় সময় আর জীবন। ছেলের বুক কাঁদে একবার মা বলে মায়ের বুকে আঁচড়ে পড়ার জন্য। মায়ের বুকের ওম পাবার আশায়। কিন্তু হায়! তা কী আর হয়! কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক মা আবার ঠিক মতো নিতে পারেন না সন্তানের যত্ন। সেই যে কাক ডাকা ভােরে সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে, দু’বেলা আহার জােগাড়ের আশায় ঘর থেকে বের হন মা; আর ফিরেন অনেক রাত করে। ইচ্ছে থাকা সত্বেও ছুটে যেতে পারেন না বুকের ধন সন্তানের কাছে। আর মা মা ডাকে কাঁদতে কাঁদতে কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে অবুঝ বাচ্চাটা। সারাটা দিন মা ও সন্তানের ভালোবাসার যে বিরহ তা সত্যি বড়ই বেদনার।
আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় বরিবার মা দিবস পালিত হয়। আজ এই মা দিবসে সকল মাকে জানাচ্ছি সালাম, শুভেচ্ছা ও অভিন্দন। কর্মজীবী মা'সহ সকল মা’দের মাতৃত্বকালীন সকল নৈতিক সুযোগ সুবিধা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হােক এই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখকঃ কলামস্টি