হে হৃদয়
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন
হে হৃদয়!
আধো জলে নিমজ্জিত পাথরের কোণ ঘেঁষে
ঝিনুকের সাথে তুমি ছিলে,
আমি ছিলেম পাড়ে—
তবু তোমার সাথে হয়নি দেখা আমার
গ্রহ-নক্ষত্র ঘুরে।
হাঁটু জল ভিজিয়ে আমি
আবার গিয়েছি ফিরে,
তোমায় লইনি কুড়িয়ে,
তুমিও স্রোতের টানে ভেসে…।
একদিন চাঁদের বুড়ির হাতের কাঁকন ছিলে
ছিলে যুবতী সূর্যের শাড়ি হয়ে—
সবই ছিল তোমার আমার পক্ষ হতে,
তবুও হয়নি সহবাস আমাদের একসাথে!
হে হৃদয়!
একদিন ছিলে তুমি নারীর বুকে,
একদিন ছিলে তুমি ঠোঁটে,
যেখান থেকে এই পৃথিবীর জন্ম
সেই জরায়ুতে একদিন ছিলে।
একদিন পাখি ডাকা ভোরে
পৃথিবীর আঁতুর ঘরে তোমার হল জন্ম
শিশিরের গা ঘেঁষে!
বিধবা রাত্রির আঁচল ছেড়ে
সূর্যমূখীরা বসেছিল হাঁটু গেঁড়ে
সোনালী কুমারী আভার পানে,
মেঘেরা সব শাঁখা আর ধুতি পরে উঠেছিল নেচে,
যৌবনেরা হল প্রানবন্ত সবুজে-হলুদে।
তারপর—
হয়তো একদিন তুমি আমার ছিলে,
নাকি, আমি তোমার?
(সময়কাল- ২০০৮ পূর্ব। পুনঃসম্পাদনা ২৫ নভেম্বর ২০১৮)