ইসলাম তখনই মানবিক হয়েছে যখন সে অন্য কোন দেশে বিদ্যমান মানবতার সাথে যুক্ত হয়ে একটি দ্বিতীয় ধর্মে পরিণত হয়েছে। যেমন ইসলামী মতে স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য তার পূর্ববর্তী স্ত্রীদের অনুমতির ধার ধারে না। বাংলাদেশের আইন আবার ইসলামের এই বিভৎস নিয়মের ধার ধারে না। তাই এক্ষেত্রে ইসলামকে অমানবিক মনে হয় না ইসলাম-অজ্ঞদের কাছে। সৌদিতে অর্ধেক মাটিতে পুতে কোন কোন অপরাধীদেরকে পাথর ছুড়ে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়। নানান অপরাধে সেখানে আদিম উল্লাসে শরীর থেকে মাথা আল্গা করে ফেলা হয়। বাংলাদেশে তা হয় না। তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইসলামের সেই বিভৎস দিকের সাথে পরিচয় নেই। ইসলামী রাষ্ট্রে বিধর্মীদের কাছে জিজিয়া কর নেয়া হতো। বাংলাদেশের হিন্দু, খৃষ্টানদের কাছ থেকে আলাদা কোন কর নেয়া হয় না। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাই ইসলাম বৈষম্যমূলক নয়।
আর দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন যে যায়েজ তা নিয়ে যে কত আয়াত এই কোরানে রয়েছে তাও বাংলাদেশে পালন হয় না। তাই কোন মালিক যদি এখানে তার দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে সেই মালিকের স্ত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশী সেটা নিয়ে তোলাপাড় তোলে।
আমি এখন যে ঘটনার কথা বলবো তা হাদিসে রয়েছে। এই মূহুর্তে কোন হাদিসগ্রন্থ, কত নম্বর হাদিস তা বলতে পারবো না। তবে তা রয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রমাণ করা যাবে।
একবার কোন এক যুদ্ধে সাহাবীরা বিজিত নারীদের সাথে সঙ্গম করে। এবং এই সাহাবীদের কেউ কেউ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়- এর ফলে যদি ধর্ষিতাদের গর্ভে মুসলমানের সন্তান এসে যায় তাহলে কি হবে? তাই তারা আ'জল করে (চূড়ান্ত মূহুর্তে বাইরে বীর্যপাত করা)। এ নিয়ে তারা মোহাম্মদের সাথে আলাপও করে।
মোহাম্মদ কিন্তু একবারের জন্যও বলেনি, তোমরা বিবাহ-বহির্ভূত যৌনসঙ্গম করে ব্যভিচারের পাপ করেছ। মোহাম্মদ কি বলল জানেন? সে বলল তোমরা কেন আ'জল করতে গেলে? কারো যদি জন্ম হওয়ার থাকে তাহলে তা হবেই হবে। রজম করলেও, না করলেও।
আমরা ততখানিই মানবিক, ততখানিই সভ্য যতখানি আমরা ইসলাম পালন করি না। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:০৯