somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক_ভালোবাসা
বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

আমার গল্পের প্রিয় মৃত প্রেমিকা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং যতবারই তোমার সাথে দেখা হয়, ততবারই আমি চমকে উঠি। চলতি পথে এক চিলতে জানালার ফাক দিয়ে তোমাকে দেখি আর ভাবি এটাই কি সেই তুমি? কোথায় তোমার সেই উচ্ছল, দূরন্ত, প্রানবন্ত, সর্বনাসী রুপ? যা দেখে আমি বার বার তোমার প্রেমে পড়েছি আর নিজেকে প্রস্তুত করেছি কোন এক প্রচন্ড দূরন্ত যুদ্ধের জন্য। সকল প্রেমই হয় স্বার্থ ও শর্তবিহীন। তাই তো তোমার প্রতি ছিল না আমার কোন স্বার্থ ও শর্তের দেয়াল। শুধু তোমাকে আঁকড়ে ধরে নতুন করে বাঁচতে চেয়েছি। দীর্ঘদিনের হৃদয়ের দাবিগুলো মেটাতে চেয়েছি। আর চেয়েছি তোমাকে নিয়ে সফলতার উচু পর্বত থেকে দেখতে নতুন দিনের প্রথম সূর্য। কিন্তু তুমি কথা রাখলে না। তুমিও হয়ে গিয়েছ সেই সব কথা না রাখা প্রেমিকাদের মত। যারা ভালোবাসার দাবি দেখিয়ে ভালোবাসাই এড়িয়ে যায়। আচ্ছা, এত ভালোবাসার দায় কিভাবে তুমি এড়াতে পার?

তুমি এখন পড়ে আছো নির্জিব হয়ে। নির্লিপ্ত তোমার রঙ ফ্যাকাশে। তোমার সেই সব আদুরে, শিহরন জাগানো রং গুলো সব বিবর্ন হয়েছে। তুমি দিন দিন ফ্যাকাশে থেকে শুধু ফ্যাকাশেই হয়েছ। অনেকটা যেন রক্তচোষা কোন প্রানী প্রবল আক্রোশে চুষে খেয়েছে সকল রক্ত। তোমার অবস্থা দেখে আমার গ্রীষ্মের পাকা রসালো আমের কথা মনে হয়। রসালো পাকা আম যেভাবে চুষে খেয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় শুধু ছোবড়াটাকে, তোমার দেহকে তারা আজ অনেকটাই তেমন করেছে। তুমি আজ আর রসালো নও, শুধুই ছোবড়া।

তোমার দেহ এখন আর উত্তাপ ছড়ায় না, তোমার স্পর্শে এখন আর আমি শিহরিত হই না। বরং ঠান্ডা নির্বিষ জিনিসে আমার করুনা হয়, বড্ড করুনা। চলতি পথে যখন তোমাকে দেখি তখন আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। বন্ধ চোখে করি কল্পনা, খুঁজে ফিরি সেই আগের উষ্ণতা, আমার প্রিয় সেই উষ্ণতার রাত, যেই ঝড়ের রাত। আমার অনেক কষ্ট লাগে, যখন দেখি তোমার বুকের হতাশার চাপা দীর্ঘশ্বাসে আমার চুলগুলো এলোমেলো হয়, আমার অনেক কষ্ট লাগে যখন দেখি তোমার পরিধি কমে আসছে, তুমি চলে যাচ্ছ বিস্মৃতির অতল গভীরে। তোমাকে ব্যবহার করে তোমাকে ছুঁড়ে ফেলেছে রাস্তায়। সেই রাস্তায় এখন শুধু ধুলো আর ধুলোদেরই রাজত্ব।

হে আমার প্রিয় গল্পের মৃত প্রেমিকা, হে আমার প্রিয় শাহবাগ, যখন তোমাকে দেখি তোমার শরীর জুড়ে ছড়ানো শুধু মৃত সব ফুলেদের পাপড়ি, যখন দেখি তোমার প্রানকেন্দ্রে হতাশ কোন এক যুবকের উদভ্রান্ত চাহুনী তখন আমার বড় কষ্ট হয়। জোরে দীর্ঘশ্বাস ফেলি না ভয়ে, শুনেছি প্রতারিত প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাস কালবৈশাখী ঝড়ের মতই ভয়ংকর। আমি চাই না, তুমি আরো লন্ডভন্ড হও, তাই দীর্ঘশ্বাসগুলো আমার বুকেই কেবল ঝড়ের মাতম তোলে। আমার বুকে উঠে শুধু বিষন্ন ভয়ংকর ঝড়ের তান্ডব। আমি খুব চাই এই তান্ডব গুলো প্রকাশ পাক, তান্ডবে ধ্বংশহোক তোমার গায়ে লেগে থাকা রক্তচোষা পরগাছাগুলো। আমি আবারও তোমার জন্য রাজপথে নামতে চাই, আবারও তোমার স্তুতি গাইতে চাই, তোমাকে ভালোবাসতে চাই, তোমার মাঝে প্রানের ছোঁয়া আনতে চাই। প্রতিশোধের কালো মেঘগুলো হৃদয়ে জমাট বেধেছে। থেকে থেকে সেখানে বজ্রপাত হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসও বইছে। এখন অপেক্ষা শুধু বর্ষনের



** শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম সেই দিন গুলোর কথা ভেবে লিখা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫
৪৯টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×