শহরে বেড়েছে বিষন্ন মানুষের হাহাকার,
গ্রাস করছে প্রকৃতিকে, ঝরে পড়ছে গাছের বিষন্ন সব পাতা,
ঝরে পড়ছে ফুটপাতে একাকী হাঁটা মানুষগুলোর উপর।
শহরের গাছগুলো এখন আর অক্সিজেন দেয় না, দেয় বিষন্নতা।
একটু অক্সিজেনের অভাবে হাসপাশ করছি আমি,
টেনে নিচ্ছি বুক ভরা বিষন্নতা।
দ্রুতই অন্ধকার হয়ে আসছে আমার প্রিয় এই শহর,
যার পথে পথে ছড়িয়ে ছিল তোমার গন্ধ।
সেই প্রিয় গন্ধ আজ আর পাই না আমি,
ইদানিং পাই ময়লা, পচা আর আবর্জনার গন্ধ।
আমার শক্তি শেষ হয়ে আসছে, হাঁটতে পারছি না আমি।
বিষন্নতার এই শহরে ভীষন ক্লান্ত আমি-
হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম ফুটপাতে।
আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আরো বিষন্ন মানুষগুলো
হিংসা তাদের চোখে, কেননা তাদের চেয়ে আরো বিষন্ন আমি।
এই শহরে সবাই এগিয়ে থাকতে চায় হোক না সেটা বিষন্নতায়
মৃদু হেসে বুঝিয়ে দিলাম, আমিই এগিয়ে আছি, হোক সে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
অপেক্ষা কখনই ভালো নয়, হোক সে মৃত্যুর
কিংবা প্রিয়তমার।
দু'চোখ বুজে পড়ে আছি আমি, প্রতীক্ষা শেষ-অপেক্ষার।
হঠাৎ মিষ্টি একটা গন্ধ পেলাম, যেন কোন ফুলের গন্ধ
কে যেন আমাকে পরম আদরে স্পর্শ করছে,
আর আমি পাচ্ছি ফুলের মিষ্টি গন্ধ।
বহু কষ্টে চোখ মেলতেই দেখি,
বাচ্চা একটা ফুলওয়ালি, হাতে তার কিছু ফুল।
চোখ মেলতেই আমাকে জিজ্ঞেস করল,
ফুল কিনবেন স্যার? একটা ছোট ফুল?
অবাক ব্যাপার! বিষন্ন শহরে এখনো চলছে ফুলের বেচাকেনা।
কারা কেনে এই ফুল?