অনেকে মনে করে যে, মসজিদের খতীব বা ইমাম হলে, মাদরাসার মুহতামিম, নায়িবে মুহতামিম, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ হলে, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফক্বীহ, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন ইত্যাদি হলে তিনি নিশ্চয়ই প্রকৃত আলিম। কিন্তু শরীয়তে প্রকৃত বা খাঁটি আলিম হওয়ার জন্য মসজিদের খতীব ও ইমাম অথবা মাদরাসার মুহতামিম কিংবা কোনো মুদাররিছ পদবীযুক্ত হওয়া শর্ত নয়। বরং শরীয়তে প্রকৃত আলিম হওয়ার জন্য যেসব শর্ত উল্লেখ রয়েছে তাহলো-
১. আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা হতে হবে।
২. ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলিম থাকতে হবে।
৩. অর্জিত ইলিম অনুযায়ী আমল থাকতে হবে।
৪. প্রতিক্ষেত্রে পবিত্র সুন্নত উনার অনুসারী বা পাবন্দ হতে হবে।
৫. তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি থাকতে হবে।
৬. পবিত্র শরীয়ত উনার খিলাফ আমল থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
এসব শর্ত যাঁর মধ্যে পাওয়া যাবে তিনিই প্রকৃত আলিম। এতে তিনি মসজিদের খতীব বা ইমাম হতে পারেন অথবা মাদরাসার মুহতামিম, নায়িবে মুহতামিম, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফক্বীহ ইত্যাদি হতে পারেন। আবার অন্য যে কেউই হতে পারেন।
মূল কথা হলো, উপরে বর্ণিত শর্তসমূহ যাঁর মধ্যে পাওয়া যাবে তিনিই প্রকৃত আলিম। আর যার মধ্যে পাওয়া যাবে না, তিনি মসজিদের ইমাম বা খতীব হোন অথবা মাদরাসার মুহতামিম কিংবা অন্য কেউ হোন, তিনি প্রকৃত আলিম হিসেবে গণ্য হবেন না।