সম্রাট আকবর ইসলাম ধর্মের সাথে হিন্দুদের ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে “দ্বীন-এ-ইলাহী” প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। । একই ভাবে জাকির নায়েক সকল ধর্মকে একই প্লাটফর্মে এনে নতুন এক ফিৎনার সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তার কিছু বিভ্রান্তিমুলক বক্তব্য এবং তার জবাব তুলে ধরার চেষ্টা করব।
১৮. জাকির নায়েক তার চরম মূর্খতা জাহির করে বলেছে যে, কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তা উনার কালাম?, তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
(Symposium- religion in the right perspective------"Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
জাকির নায়েকের এই বক্তব্য স্পষ্টত কুরআন শরীফ বিরোধী। মহান আল্লাহ পাক সূরা বাক্বার এর ২ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “এ সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, এটি মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক।” যেখানে মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করতে নিষেধ করলেন, সেখান জাকির নায়েক কি করে কুরআন শরীফ এর শুদ্ধতা বিজ্ঞান দ্বারা করতে চায়? বরং বিজ্ঞান নামক ইলমটি কুরআন শরীফ এর অংশ মাত্র।
১৯. জাকির নায়েক বলেছে যে, মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে মুল পার্থক্য হলো মুসলমান বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার অর্থাৎ everything is God’s অন্যদিকে হিন্দুরা বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ everything is God. (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
(Universal brotherhood- ------"Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
জাকির নায়েকের ভাষ্য মতে, মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য হলো এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস অর্থাৎ তওহীদে বিশ্বাস। তার যুক্তিমতে হিন্দুদের জাত ব্রাহ্মণরাও মুসলমান কারণ তারাও এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। প্রকৃত আহলে কিতাব (ইহুদী, খৃষ্টান)রা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল, সুতরাং জাকির নায়েকের যুক্তি মতে তারা মুসলমান। কিন্তু মুসলমান হওয়ার মূল শর্ত হলো তওহীদের সাথে রিসালতে বিশ্বাসী হবে এবং আক্বীদা শুদ্ধ হবে।
২০. জাকির নায়েক সূরা বাক্বার এর ১৫৪ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, আয়াত শরীফ এ উল্লেখিত “…..বরং তারা জীবিত……” এর অর্থ হলো পরকালে তারা আবার জীবিত হবে (পুনরুত্থান) এবং তাদের পুরস্কিত করা হবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
( Terrorism & Jihaad- an islaamic perspective- released by Peace Center)
সূরা বাক্বারা এর ১৫৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “আরা যারা আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শহীদ হয়, উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং উনারা জীবতি কিন্তু তোমরা তা বুঝো না।” এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, উনারা দুনিয়াতে শহীদ হবার পরও জীবিত পরকালে তো অবশ্যই। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিরমিযী শরীফ ও মিশকাত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কুরআন এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” সুতরাং জাকির নায়েক যে কোন স্তরের লোক তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।