সারাদিনের ছোটাছুটি শেষে একরাশ ক্লান্তি যখন
ভর করে শরীরের দেয়ালে, পাটাতনে,
বিছানা-ছোফায় শরীরাটা এলিয়ে দিয়ে, ঘুম জড়ানো চোখে
টিভির রিমোটের সাথে অন্যরা সখ্যতা গড়ে,
জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত আমরা তখন
ঝলসানো সোডিয়াম লাইটের নিভন্ত আলোয়
ভূলতে শুরু করি – পেরিয়ে আসা সময়ের ব্যবচ্ছেদ,
গল্পের ডালাপালা অনুভূতির শেকড় খুঁজে বিরামহীন
আলো-আধারের সংজ্ঞাহীন সময়ে – কদমতলা প্রতিদিন।
ঘূর্ণাবর্তে সময়ের ডায়রীতে নিরাশার হোলিখেলা
পাওয়া-নাপাওয়ার গল্প্ যেখানে বোবা কান্নার ঘোড়া
আগামীর কথাগুলো স্বপ্ন-ডানায় উড়ে চলে
দূর পাহাড়ের দেহাতীত আত্নাদের মিছিলে,
শব্দের শালীনতা আগুনে পুড়া ভষ্মরাশীর মতো
সামাজীকতার দেয়াল ভেঙ্গে খুঁজে নূত্যের মাধুরিমা
ঝড়-বৃষ্টি আর চামড়া ঝলসানো রোদের রাঁঙ্গা চোখে
আসি ঝংকারে টগবগ করে ক্রোধের পদরেখা
চেনা-অচেনা সব চেহরার হাসিতে অদ্ভুত এক মুগ্ধ নিমন্তণ,
অদৃশ্যের অক্ষরে ভাষার মার্জনা, সম্পর্কের ভূগল খোঁজা
শব্দতুলিতে আঁকা রঙ্গীণ ক্যনভাস – প্রতিদিনের কদমতলা।
তসলিমা নাসরিনের আগুন ঝড়ানো “কলাম”,
হোয়াইট হাউসের আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বায়নের মুগ্ধতা,
হিটলারের রক্তে জাতীয়তাবোধের চেতনা
মেসির বাঁকা শটে গোল আর ক্রিকেটে আমাদের উত্থান
কোন কিছুই এখানে অজানা নয়, অধরা নয়,
পরিপ্রেক্ষিত থেকে কাল্পনিক … চিত্রায়ণ বিরামহীণ।
শহীদের কুপির তেল ফুরিয়ে গেলে
আনোয়ারের মুগ্ধ হাসি, হাতে চাইনিজ চার্জার লাইটে
রেরসিক পুলিশের আভিযানে, নিমন্ত্রণহীন আগমনে
চাচার চায়ের কাপে ধোঁয়া উড়ে, চামচের ছন্দে
রফিকের মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া ঠিকানাহীন
অদৃশ্যের আট্টহাসি, স্মৃতির পকেটে বিষ্ময় – কদমতলা প্রতিদিন।