রাত্রি গভীর হলে, বাতাস আরো ভারী হয়
রুদ্ধদ্বার, কন্ঠস্বরকে আটকে রাখে মধ্যযুগের গাঢ় অন্ধকারে
রুদ্ধশ্বাস এ জীবন বয়ে চলে যন্ত্রণার চিহ্ন
ডায়রীর আরো একটি পাতায়, আঁকা হয়ে যায়
তোমার জলছবি, শব্দ-অশব্দের বিস্থীর্ণ কলোরবে।
প্রত্যুষের লগ্নক্ষণে, তোমার হৃদয়ে অনুরাগ জাগে
সমস্থ রাত্রির পরিত্রাণ খোঁজ, অসয্য স্থব্ধতায়
একটি সময়ের উদ্বেল আনন্দে,
তুমি খুজো বিজয়ী পুরুষ, যার বাহুতে নামে
আজেয় শব্দ-সেতুর বিহব্বল উত্তাপ…….
নির্জনতার রাজ্য ভেঙ্গে, তুমি খুজো পরিত্রাণ, স্বস্তির যন্ত্রণা।
রাতের সমস্থ সুন্দর, ভোরের শিশিরকে সমর্পন করে
তোমার চোখের তারার সব কয়টি বাতি জ্বালো
আর তখনই শুরু হয়
আমার কলঙ্কিত উদ্দেশ্যহীন পলায়ন,
আবেগের সমস্থ তরঙ্গগুচ্ছ কম্পিত হয় লজ্জিত ভঙ্গিমায়।
ফের যদি কোন প্রার্থনায় আসো, তাহলে
প্রার্থনা করো, যেন আগামী সকালের পরে
তুমি বৃক্ষ হবে, তাহলে আমি হবো
অকুন্ঠের অজেয় পুরুষ অথবা দুপুরের বাঁশরীয়া রাখাল।
বইঃ কবিতাটি অসংজ্ঞায়িত বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।