পৌরনিক গল্পের চাঁদমামা নিরুদ্দেশ।
.... বন-ঘুঘুদের নৈশ্য সংগীতে,
সময়ের নাড়ী ছিড়ে বেরিয়ে আসে নিদ্রাহীন কালসাপ
বাকসর্বস্ব মস্তিষ্কের ফসফসানিতে গন্তব্যহীন এইসব
হতাশাক্লিষ্ট সত্তা, শ্রীহীন মনের কঙ্কাল।
ঘুমন্ত প্রতিটি পারা হতে দেবতাদের নিঃসব্দ প্রস্থান আর
রক্তের নেকড়া দিয়ে মুছা অক্সিজেনের চুল্লির সাজ
পুরহিত বক্ষচারীর নিত্য চিৎকার ছাপিয়ে
অন্তরাত্না কাঁপিয়ে বেজে ওঠে মানবতার বাউলা গান।
ভুলে যাই আজন্ম কোলাহল, তৃণভোজী রাঙা প্রভাত
আমাদের বিশ্বাস, ভ্রুন-হত্যার খেলা খেলে
যে বাসর সাজাই, তাই নিয়ে আসবে কোন এক প্রদাহময় ভোর
মানবতার কফিনে আরো একটি পেরেক মারা হলে
রোদের গায়ে ভেসে ওঠে নষ্ট বেহুলার প্রতিচিত্র।
সত্যের পুরোহিত কেউ আর সাজায় না
আত্নশুদ্ধির মেলা....
জীবন বলতে এখন মৃতুর তাড়া
শূন্যে ভাসা পানকৌড়ির পালক আর হিংস্র শকুনের আড্ডা।