যেখানে দিগন্ত কাঁদে অস্তিত্বহীনতার ভয়ে
অনন্ত আকাশ ঝুলে থাকে মাটিকে স্পর্শের তৃষ্না বুকে
অস্ত মোহে সুর্য যখন হারায় গোধুলির আবছায়ায়
তখনও দেখ মুসাফির আমি দারিয়ে তোমার জীবন রেখায়।
অবচেতন আমি অনাহুত স্রোতে আচ্ছাদিত অক্লান্ত পুরুষ
যখন জলপদ্মরা কাঁদে তোমাকে না দেখার যন্ত্রনাতে।
যেখানে সীমান্ত আঁকে তোমার নামে শিশিরের কাব্যসীমা
সিসিফাসের মতো অযথা বসে থাকি তোমার অস্তিত্বর খোঁজে
তোমার দীর্ঘায়িত করিডোরে আমার উম্মুখ অনিদ্রা ব্যর্থ হয়
পরাভুত এই মন যখন কাঁপে অসভ্য সভ্যতার আঁচরে।
তবুও দেখো বসে থাকি আমি ব্রজ্রের আমন্থনে
যখন আকাশ ছেড়ে বৃষ্টিরা নামে তোমার ঠোট স্পর্শের কামনাতে।
যেখানে দাঁড়িয়ে আমি মুসাফির, মহাকাল আজ দাঁড়িয়ে স্থবির
বঞ্চিত পর্ব শেষে অষ্টাদশী প্রেমময় জনাকীর দল আঁধারে করে কিলবিল
শুরু হল তোমার পর্দা আয়োজন, তাই থেমে গেছে সন্ধ্যা আলাপন
আমার ভেজা দর্পনে দেখি, তোমার-আমার মাঝে শুন্যতার বালুচর।
মন্থর বাতাসে কুমারী নদীর জল ছুয়ে নিরব ইতিহাস গড়ে
যখন, আঁধারের কাছে সম্ভ্রম হারিয়ে সূর্য নামে সমুদ্র স্নানে।
লেখকঃ হোসেন মৌলুদ তেজো
বইঃ কবিতাটি অসংজ্ঞায়িত বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে।