সম কালের জৈবনিক চাহিদার কাছে ম্রিয়মান প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, শুদ্ধতা, স্বপ্ন-বিশ্বাস। প্রতিভাসিত রুদ্ধতায় পিষ্ট হচ্ছি আমি তবুও দেখ বউন্ডুলে, লক্ষহীন, উদ্ভাস্তু এই আমার কত দুংসাহস...... এখনও তোমাকে নিয়ে ভাবি, তোমাকে নিয়ে লিখি।
তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো, পছন্দ কর নগ্ন পায়ে নিরপদ্রব ও কণ-কুহরে প্রবিষ্ট বেঞ্জনময় ধ্বনি আর তাই আমি প্রার্থনা করি বৃষ্ট...... তোমার পদষ্পর্শে মৃত্তিকা যখন হাহাকার ভুলে...... আমার হৃদয়, মন তখন নির্মমতার চিহ্নবাহী কাব্যপংতির সমাহার। জীবনের অনিশ্চয়্তা আর অসহায়ত্ব সমর্পন করেছি ভাগ্যদেবতার অদূশ্য চরনে, প্রসান্ত্য আর দুরগামী চিন্তাগুলো আমাকে বড়ো অপ্রতিভ আর অপ্রস্তুত করে দেয়।
আমি আমার অস্তিত্ব আর জাতীসত্বাকে উপেক্ষয়া করতে পারিনা, পারিনা গভিরভাবে তোমার সংলগ্ন হওয়ার ইচ্ছাকে দমন করতে, পারিনা নিজের অস্তির চিন্তা, চেতনা, বৈশ্বয়িক চাপ দু-হাতের মুঠোয় ভরে ভাসিয়ে দিতে বৈশাখী মাতাল বাতাসে। আমি আসলে ক্রিতদাস মানব অতচ বিবর্ণ গোষ্টী অহঙ্কারের ঘোর বিরোধী। আত্নগত সিমাবদ্ধতা, প্রথা মেনে নিতে পারিনা, আত্নজাগরনের প্রয়াস কখনওবা বিপদমুখী করে, সময়ের নেতিবাচক ভারকে যকন বহন করতে শিখেই ফেলেছি তখন আর ইতিবাচকতা খুঁজে কি হবে। নান্দনিক শিল্পজ্ঞান ভুলে নক্ষএ-খচিত আকাশের শিল্পই আজ আমার জিবন-দর্শন, কারন সেওতো তোমার মতই অধরা!
জরায়ুর মত প্যাঁচানো আমার অবস্থান; হতাশা আর আত্নগ্লানির সরু, সংকীর্ণ রাস্তায় আমার চলা, তাই প্রার্থনা করি, তুমি সুখ-সংলগ্ন, গভিরতম সত্যসণ্ধ পথের পথিক হও।