সর্বদলীয় সরকার গঠনে রাজী মওদুদসহ অর্ধশত নেতা
অমিতাভ কায়সার,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদসহ দলটির আরো অর্ধশত শীর্ষ নেতা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের মূল অংশ সর্বদলীয় সরকারে না এলে বিএনপির ওই নেতারা নতুন দল গঠন করবেন। তারা যোগ দেবেন সর্বদলীয় সরকারে। তাদের নেতৃত্বে থাকতে পারেন স্বৈরাচারী এরশাদের উপপ্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ।
এ তালিকায় আছেন দলছুট, সুবিধাবাদী ও এক এগারোর ‘সংস্কারপন্থী’রা। বিএনপিতে তারেকের কর্তৃত্ব যারা মানতে পারছেন না, তাদের মধ্যেও কয়েকজন নতুন দল গঠন করে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী। ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও আরেকটা এক এগারো ঠেকাতে’ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছেন।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দেয়ার পর যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মওদুদ আহমদ টেলিফোনে তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জানান সর্বদলীয় সরকারে তার সমর্থনের কথা। ঢাকায় মওদুদের ঘনিষ্ঠজন ও বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য জানায় প্রিয় দেশকে। ব্যরিস্টার মওদুদ যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় এসব বিষয়ের সত্যতা জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বিএনপির আরেকটি সূত্রের দাবি, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট থাকলে শেষ পর্যন্ত তরিকুল ইসলামের মতো জামায়াত বিরোধী কয়েক নেতা নতুন দল গঠন করে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে পারেন। তবে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাসের মতো জামায়াত বিরোধী নেতারা শেষ পর্যন্ত মূল বিএনপি ছেড়ে আসার সম্ভাবনা দেখছে না সূত্রটি।
সূত্র দাবি করে, সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অর্ধশত নেতা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ রেখে আসছেন মহাজোট সরকারের শুরু থেকে। তাদের সবার নাম নিশ্চিত করে বলা না গেলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরতে পারছেন। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের সময়ও তারা মাঠে নেই, আন্দোলনেও নেই। এ মুহুর্তে কয়েকজনকে ছাড়া তাই বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাকে আন্দোলনের জন্য পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। কেউ কেউ আছেন স্বঘোষিত আত্মগোপনে, কেউ কেউ আছেন বিদেশে।
আরেকটি সূত্র জানায়, বিএনপিকে ভাঙ্গার আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ব্যক্তও করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। দলের দায়িত্বশীল নেতারা অকপটে স্বীকার করেছেন দল ভাঙ্গার বিষয়টি। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবে বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর গতকালের ভাষণের অনেক আগে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বিএনপিকে ভাঙতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। বিএনপির শীর্ষ কয়েক নেতার কর্মকাণ্ড, দলটির নির্বাচনী প্রতীক দিয়ে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো খালেদা জিয়া গভীরভাবে নজর রাখছিলেন। দলছুট, সংস্কারপন্থী ও সাবেক কয়েক বিএনপি নেতা দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে সন্দেহ করে আসছেন খালেদা জিয়া। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের একদিনের মাথায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। আজ শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজের কার্যালয়ে দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করছেন।
সূত্র জানায়, সাবেক স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ব্যরিস্টার মওদুদ চিকিৎসার নামে বিদেশে গিয়ে মূলত নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছেন। বুকে ব্যথা নিয়ে তিনি সম্প্রতি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা ও নতুন দল গঠন করতে যাওয়ার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে হাসপাতালে দেখতে যাননি। চিকিৎসার জন্য এমন এক সময় তিনি লন্ডন গেলেন, যখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি। আর ২৫ অক্টোবর ঘিরে রয়েছে নানা শঙ্কা।
Click This Link সরà¦à¦¾à¦° à¦à¦ নৠরাà¦à§ মà¦à¦¦à§à¦¦à¦¸à¦¹ ঠরà§à¦§à¦¶à¦¤ নà§à¦¤à¦¾