আমাদের বাসায় আমার এক কাকা ডাক্টার আছিলো
ডাক্টার থাকার কারনে তার বাসায় প্রায় ৭-৮ টা অজন মাপার
যন্ত্র ছিলো একেকটা এক এক রকম অনেক কোম্পানি থেকে তাকে পাটাহনো হত
আমার আত্বিয়রা সবাই যখন আমাদের বাসায় আসতো তখন সবাই
ওয়েট মেশিন গুলা নিয়ে অজন মাপতে ব্যস্ত হয়ে যেত অনেক টা মজা করার জন্যই
কারোর দেখা যায় ৪৫ কেজি কারোর ৮০ আবার কারোর ৬৭
আমার টা মাপলে দেখা যেত ৩০-৩৫ বাসার মধ্যে সবচেয়ে কম আমার ওজন
হ্যাংলা ছিলাম সবাই লেরভেরা কইয়া ডাকতো।
বাসায় আব্বা আম্মা আমাকে খালি খেতে বলতো নানি মুরগি কিনে পাঠায় দিতো
বলতো পুলাডারে বেশি করে খাওয়া মাঝে আব্বার কানে আসলো কি একটা গুরা দুধ
খাইলে নাকি মোটা হয় আমারে তাই কিনে খাওয়াইলো ডেইলি ৩ গ্লাস....
এমন করতে করতে আমার বয়স যখন ১৫-১৬ তখন একটু মোটা হইতে শুরু করলাম
তারপর থেকে কেমন জানি হইলো খালি ক্রিম ওয়ালা বিস্কুট মাখন পাউরুটি চকলেট খাইবার মন চাইত আর খাইতে চাইতাম সবাই আমারে কিনে কিনে পাঠাত বলতো পুলাডা খাক খাইলে মোটা হবে।
মোটামোটি তখন সাস্ত শরির ভালোই হইলো মিডিয়াম
সব মাইনষে কইতো পুলাডার শরির একদম পারফেক্ট মোটা ও না চিকন ও না
খুব ভালো লাগতো তখন।
এরপর থেকে যে মোটা হইবার শুরু করলাম আর স্লোগান দিয়ে মোটা হইতে থাকলাম খালি খাইতাম আর খাইতাম।
শুরু হইলো সবাই আমারে মোটকা কইয়া ডাকনের শুরু হল আমার খারাপ লাগার দিন যত চেস্টা করি খাওয়া ছারতে ততই খাওয়া হইতো।
সকালে হাটতে গেলে অথবা এক্সারসাইস করলে দুপুরে ভাত অন্য দিনের চেয়ে খাওয়া বেশি হয় এর জন্য আর কোন লাভ হয় নাহ মোটা তোহ মোটাই।
যাক এখন মোটা নিয়ে কথা কওন যাইবো না কারন পোস্টের শিরোনাম আমি যখন চিকন আছিলাম....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫১