৬০-৭০ বছর বয়সী কিছু মানুষকে এই শীতের রাতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্হা করার চেয়ে আর কোন ভাল ও সুখের কাজ করা সম্ভব কি না আমার জানা নেই।
স্হান: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত সোনাহার হাই স্কুল মাঠ
উদ্দেশ্য যদি মহান হয় তবে সেখানে অর্থের সংস্থানের কোন অভাব হয় না সেটাই প্রমাণ করল কানাডার কিচেনার ও ওয়াটারলুর প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১০ দিনের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ও নীলফামারী জেলার "হালিমা-ফারুক ফাউন্ডেশন" ৫০ হাজার টাকা দান করে।
স্হান: কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা প্রেস ক্লাব
দানকৃত টাকা দিয়ে সর্বোমোট ৬২০ টি কম্বল ক্রয় করা হয়েছে যা উত্তর বঙ্গের ৪ টি জেলায় (কুড়িগ্রাম, নিলফামারী, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়) বিতরণ করা হয়েছে।
স্হান: নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত গোড়-গ্রাম মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন
১) ১৩ই জানুয়ারি ২০১৩, নীলফামারী জেলার গোড়-গ্রাম ইউনিয়নের দারিদ্র মানুষদের মাঝে ২৩৫ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
২) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত সোনাহার হাই স্কুল মাঠে গত ২১ শে জানুয়ারী ১০৫ টি কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
৩) দিনাজপুর জেলার খানসামা ও বীরগন্জ উপজেলার অন্তর্গত ৫ টি ইউনিয়নের মানুষদের মাঝে গত ২৪ ও ২৫ শে জানুয়ারী ১৮০ টি কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
স্হান: দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার অন্তর্গত বেলপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন
উপরোক্ত ৩ টি জেলায় কম্বল বিতড়ন করা হয়েছে হালিমা-ফারুক ফাউন্ডেশন, নীলফামারী এর সহযোগীতা নিয়ে।
৪) এছাড়া একই অর্থ দিয়ে ওয়াটারলু প্রবাসি ইন্জিনিয়ার কাসেম সাহেব, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা সমিতি, ও প্রেস ক্লাবের সহযোগিতা নিয়ে মাধ্যমে চিলমারি উপজেলায় ১০০ কম্বল বিতরন করা হয়েছে ২৫ শে জানুয়ারী।
যে বয়স গ্রুপের মানুষদের মাঝে কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়েছে তারা ছিল প্রধানত বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ছেলে-মেয়ে যত্ন নেয় না, ভিক্ষুক, শারীরিক ভাবে অকর্মণ্য অথবা বয়সের ভারে নূয্য।
আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই হালিমা-ফারুক ফাউন্ডেশন, কানাডার কিচেনার ও ওয়াটারলুর প্রবাসী বাংলাদেশি সহ অন্যান্য স্থানের বাংলাদেশী ভাই-বোনদের যারা আমাদের উদ্যোগের উপর অস্হা স্থাপন করে এগিয়ে এসেছেন অসহায় বাংলাদেশি মানুষদের সাহায্যার্থে।
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবারো এটাই প্রমান করল যে "দেশপ্রেমই যথেষ্ট দেশের প্রতি কাজ করবার জন্য। দেশমাতৃকার টানে উদ্ধ্বুদ্ধ হয়ে যে যার অবস্থান থেকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে গেলে সাফল্য সুনিশ্চিত।"