## আল্লাহ্ যাকে হেদায়াত করার ইচ্ছা করেন,তার বক্ষকে ইসলামের জন্য খুলে দেন।
- সূরা আনআম, আয়াত-১২৫
## আপনি যাকে ভালবাসেন,তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না, তবে আল্লাহ্ তা'আলাই যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন।
-সূরা আল-ক্বসাস, আয়াত-৫৬
## আল্লাহ্ ফাসাদ (অশান্তি) পছন্দ করেন না।
- সূরা আল-বাক্বারা, আয়াত-২০৫
## আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা চান না।
- সূরা আল-বাক্বারা, আয়াত-১৮৫
## অতএব যার ইচ্ছা হয় ঈমান আনুক এবং যার ইচ্ছা কুফুরী করুক।
- সূরা আল-ক্বাহাফ, আয়াত-২৯
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক যুগে অসংখ্য অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁকে ঠাট্টা করা হয়েছে,বিদ্রুপ করা হয়েছে,অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে,একাধিকবার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।প্রার্থনার সময় তাঁর গায়ের উপর উটের পচা নাড়ি-ভুঁড়ি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর অনুসারীদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে নানা নির্যাতন করা হত,এমনকি তাদেরকে নিজ ভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যেতে হয়েছিল।
আমার জানামতে এসব কারণে মুহাম্মদ(সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীরা কারও মাথা ধড় থেকে আলাদা করেনি,বরং তাঁদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করেছিল।ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে তাঁরা ইসলামকে ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আজকের যুগের 'মুসলমানরা' কি নবী মুহাম্মদ(সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীদের থেকেও বেশী ধর্মঅন্তঃপ্রাণ হয়ে গেছে!নবী মুহাম্মদ(সাঃ) এর দেখানো ধৈর্যের পথ অনুসরণ না করে চাপাতি নিয়ে জান্নাত হাসিলের প্রচেষ্টা কতটুকু যৌক্তিযুক্ত!
আল্লাহ্ অশান্তি পছন্দ করেন না এবং কঠোরতা চান না। ইসলামকে যদি আল্লাহ্ এবং রাসুলের দেখানো পথে চালিত না করে মন গড়া পথে চালিত করা হয় তাহলে সেটা আর ইসলাম থাকে না!
আজকের পৃথিবীতে যে মুসলমানদেরকে,ইসলামকে নানাভাবে ট্রিট করা করা হয় তাঁর জন্য দায়ী এসব 'ধারণায় বিদ্বান'রা, যারা কুরআন-হাদিস চষে ইসলামকে জেনে বিদ্বান তাঁদের পক্ষে আল্লাহ্ এবং মুহাম্মদ(সাঃ) এর দেখানো পথের বাইরে যাওয়া সম্ভব না।
অসুস্থ্য মস্তিষ্কের ধারক-বাহক- যারা নিজেদের ইচ্ছেমত ধর্মকে মোডিফাই করে তারা শুধু অসুস্থ্যতাই ছড়ায়, কখনোই ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে এদেরকে মেনে নেওয়া সম্ভব না!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৭